মালদা, 25 ফেব্রুয়ারি: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ৷ রাজ্যসভার সাংসদের উপস্থিতিতে নিগ্রহ করা হল বিধায়ককে ৷ সবার সামনে ধস্তাধস্তি করতে দেখা গেল তৃণমূলের দুই নেতার অনুগামীদের ৷ সেই ছবিই উঠে এল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ৷ যদিও দুই নেতারই দাবি, "এসব বাজে কথা ৷ কোনও ঘটনাই ঘটেনি ৷ " অন্যদিকে, এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি সাংসদ মৌসম নূর ৷
শনিবার ঘটনাটি ঘটে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে ৷ সেদিন ওই গ্রামে 100 দিনের কাজ প্রকল্পে উপভোক্তাদের সহায়তা শিবির করেছিল তৃণমূল ৷ তা পরিদর্শনে যান সাংসদ মৌসম নূর, চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম-সহ আরও অনেকে ৷ সেখানেই প্রকাশ্যে বচসা ও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে রবিউল ও নীহার অনুগামীরা ৷ বিধায়ককেও নিগ্রহ করতে দেখা যায় ৷ পরিস্থিতি বুঝে কার্যত সেখান থেকে পালিয়ে যান তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা ৷
চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ, বরুই, কুশিদা ও তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্ভুক্ত ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধুমাত্র রশিদাবাদ ছাড়া বাকি তিনটিতে হেরে যায় তৃণমূল ৷ এর জন্য বিধায়ককেই দায়ী করেন রবিউল অনুগামীরা ৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক রবিউল অনুগামী এনামে হায়দারের কথায়, "পঞ্চায়েত নির্বাচনে নীহাররঞ্জন ঘোষ বিরোধীদের হয়ে কাজ করেছেন ৷ তাঁর জন্য আমরা তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত হারিয়েছি ৷ নির্বাচনের সময় বিধায়ক একদিনও এলাকায় পা রাখেননি ৷ বিরোধীদের নিয়ে মিছিল করেছেন ৷ এসব কারণেই আজ তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে ৷ এখানকার কোনও পঞ্চায়েত এলাকায় একা আসার ক্ষমতা নেই তাঁর ৷ তাই আজ সবার প্যান্টের দড়ি ধরে তিনি এখানে এসেছিলেন ৷ নীহাররঞ্জন অসম্ভব দুর্নীতিগ্রস্ত ৷"