ঘাটাল, 22 জানুয়ারি: অবশেষে শুরু হতে চলেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ ৷ শুরু হল মনিটরিং বৈঠক । 2028 সালের মার্চের মধ্যে শেষ হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ ৷ বৈঠক শেষে এমনটাই জানান ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী তথা অভিনেতা দেব । এরই সঙ্গে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের জন্য সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতাও চাইলেন তিনি।
মঙ্গলবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মনিটরিং কমিটির প্রথম বৈঠক হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, সেচ দফতরের মুখ্যসচিব মণীশ জৈন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা । ঘাটাল মহকুমা শাসকের দফতরেই এই প্রশাসনিক বৈঠক হয় ৷
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ নিয়ে বলতে গিয়ে দেবের মুখে শোনা গেল জমি অধিগ্রহণের কথা । তিনি জানান, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য জমিদাতাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে তবেই কাজ শুরু করা হবে ৷ জমি অধিগ্রহণ নিয়ে দেব বলেন, "ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু ও বাস্তবে রূপ দিতে হলে বহু মানুষের জমি জায়গা ও দোকান উচ্ছেদ বা অধিগ্রহণের আওতায় পড়বে । সরকার কারও জমি জায়গা জোর করে নেওয়ার পক্ষে নয়।"
সাংসদ বলেন, "ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য টাকা প্রস্তুত ৷ যেটা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য টানাপোড়েন চলছিল, তার সমাধান হয়েছে ৷ ইঞ্জিনিয়ররাও সার্ভে করে সব প্ল্যান তৈরি করে ফেলেছেন ৷ এবার শুধু প্রায় 10 হাজার মানুষকে বোঝাতে হবে ৷ এই কাজের আওতায় তাদের জমি ও বাড়ি পড়বে ৷ তাই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাতে হবে । দেখতে হবে যাতে এই 10 হাজার মানুষকে কেউ ভুল না-বোঝায় । জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে এবং ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণে সবস্তরের মানুষ, রাজনৈতিক দলগুলির সাহায্য ও সহযোগিতার প্রয়োজন ৷ তাই আমার স্লোগান, ইউনাইটেড ফর ঘাটাল ৷"
এই বিষয়ে সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই শুরু হতে চলেছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ । খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানানো হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরুর শুভসূচনা করার জন্য । এই প্ল্যানের কাজ শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের দু'টি ব্লক-সহ মোট সাতটি ব্লক ও দুটি পুর এলাকা নিয়ে শুরু হতে চলেছে ৷ মাথার উপর রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আর জনতা জনার্দনকে সঙ্গে নিয়েই আমরা এই কাজ শুরু করব । কারও কোনও সমস্যা থাকবে না ৷"