নন্দীগ্রাম, 18 অগস্ট: নন্দীগ্রামে তৃণমূল করার অপরাধে মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ৷ নির্যাতিতার সঙ্গে রবিবার হাসপাতালে দেখা করল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ৷ ওই দলে ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা, রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, যাদবপুর লোকসভার সাংসদ সায়নী ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও মমতাবালা ঠাকুর-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা ।
নন্দীগ্রামে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের (নিজস্ব ছবি) নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, "নন্দীগ্রামে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে ৷ ঘটনার খবর পেয়ে আমরা কলকাতা থেকে ছুটে এসেছি । এখানে আমরা কোনও রাজনীতি করতে আসিনি । নির্যাতিতা ও তাঁর নাবালিকা মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে । তাই তাঁদের সুচিকিৎসার জন্য কলকাতা নিয়ে যাচ্ছি । মহিলার স্বামী-সহ গোটা পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ৷ বারবার হামলা হয়েছে ওই পরিবারের উপরে ৷ এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক হামলা ৷ বিজেপির দলীয় অফিসে বসে হামলার ছক হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ ৷ দোষীদের শাস্তি চেয়ে আমার থানায় যাব ৷"
সায়নী ঘোষের কথায়, "পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আসিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে তাঁদের ভরসা দিতে এসেছি ৷ আজকে নির্যাতিত মহিলা ও তাঁর মেয়েকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে ৷ এই ঘটনা খুবই নৃশংস ৷ মহিলার মা ও ভাই তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও মারধরের হুমকি দেওয়া হয় ৷ বাড়ির পোষা কুকুরের চোখ উপড়ে নেওয়া হয় ৷ বিরোধী দলনেতা কোথায় গেল এখন ! তিনি ফোন করে ঘটনাটা মিটিয়ে নিতে বলছেন ৷"
আরজি কর-কাণ্ডে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য ৷ ঠিক সেই সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ৷ আরও অভিযোগ, ওই মহিলাকে প্রস্রাব খাওয়ানোর কথাও বলা হয়েছিল অভিযুক্তদের তরফে ৷ এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামীকে ৷ যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, এটা একান্তই পারিবারিক বিবাদের ঘটনা ৷ তবে এই ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল ৷ মহিলার স্বামী নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন ৷