কাঁথি, 13 অক্টোবর:জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন নিয়ে বলতে গিয়ে নাম না-করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সিঙ্গুরে তৃণমূল সুপ্রিমোর অনশনের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু ৷
মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, "জুনিয়র ডাক্তাররা কেউ চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করছেন না । এর আগে, যিনি 26 দিন অবস্থানে বসেছিলেন তিনি চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন করেছিলেন । জুনিয়র চিকিৎসকেরা জালি নয় । এঁরা তো অরিজিনাল ৷ সত্যিকারের অনশন করছেন । দীপক ঘোষের বই পড়বেন । তাতে বুঝতে পারবেন, সিঙ্গুরে 26 দিনের অনশনের কাণ্ড-কারখানা কী ছিল ।"
নাম না করে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর (ইটিভি ভারত) পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর মধ্যে অন্যতম চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন । এই ক্লাবের সভাপতি পদে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এবারে 27 বছরের পুজো চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশনের । তিথি অনুযায়ী শনিবার থেকে বিসর্জন শুরু হয়েছে । কিন্তু চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন রবিবার । তাই এ দিন ক্লাবের সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশনের পুজো মণ্ডপে এসে মিষ্টিমুখ করান সকলকে । তারপর কচিকাঁচাদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেন । সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীকে বরণ করে নেন ক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তারা ।
শুভেন্দু অধিকারীকে বরণ করে নেন ক্লাবের কর্মকর্তারা (নিজস্ব ছবি) এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে হামলার ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "সরকার শক্ত হাতে এটার মোকাবিলা না করলে এই জিনিস কোনও দিন বন্ধ হবে না ।" জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করায় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি ৷ বিরোধী দলনেতার কথায়, "শনিবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সার্ভিস রুল মেনে ডাক্তারদের পদত্যাগ করতে বলছেন । হাসপতাল ছেড়ে ডাক্তাররা চলে যাক, তিনি এটাই চাইছেন । এঁঁরা বিদেশে ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান । কিন্তু সাধারণ মানুষ যাবে কোথায় ? 90 শতাংশ লোক সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল ।"
বিজয়া দশমীর মিষ্টিমুখ করালেন বিরোধী দলনেতা (নিজস্ব ছবি) শুভেন্দু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির লোকেরা বিদেশে যান চিকিৎসা করাতে । আমেরিকায় গিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন । চিকিৎসকদের দাবি-দাওয়াগুলিকে সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেখতে হবে । সমস্ত হাসপাতালগুলোকে জুনিয়র ডাক্তারের উপর ভরসা করতে হয় । রাতে কিছু হয়ে গেলে জুনিয়র ডাক্তাররাই তো সেবা দিয়ে মানুষকে বাঁচান । সরকারকে এ বিষয়ে নমনীয় হতে হবে । ওঁদের দাবি তো সরকার পরিবর্তনের নয় ! তাহলে সমস্যা ছিল, পদ চলে যাবে, চেয়ার চলে যাবে । ওঁদের লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছে সিন্ডিকেট বন্ধ করা, সেফটি সিকিউরিটির বিষয়গুলি ।"