সিঙ্গুর (হুগলি), 18 অক্টোবর: জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন সিপিএম বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর দাবি, মমতার স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনের অপমৃত্যু চায় সিপিএম৷
বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, ভোটের সময়ও এভাবেই মমতাকে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন আলিমুদ্দিনের নেতারা ৷ তবে আগামিদিনে সিপিএম আর এই প্রচেষ্টায় সফল হবে না বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু ৷ জানিয়েছেন, হিন্দু ভোট কেটে মমতাকে রেখে দেওয়ার সিপিএমর ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে এবার ৷
মমতার স্বার্থরক্ষায় ডাক্তারদের আন্দোলনের অপমৃত্যু চায় সিপিএম, অভিযোগ শুভেন্দুর (ইটিভি ভারত) শুক্রবার হুগলির সিঙ্গুরে এক মিছিল করা হয় বিজেপির তরফে ৷ শিল্পপতি রতন টাটার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করতেই ওই মিছিল করা হয় ৷ যেহেতু টাটার কারখানা একসময় সিঙ্গুরে হতে যাচ্ছিল, তৃণমূলের আন্দোলনের জেরে তা চলে গুজরাতে, সেই কারণেই এ দিন সিঙ্গুরের গোপালনগর সাহানাপাড়া মোড় থেকে মিছিল করে বিজেপি ৷ সেই মিছিলের শেষেই সিপিএমকে এই হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা ৷
জুনিয়র চিকিৎসকরা যখন লালবাজার অভিযান করছিলেন, সেই সময় সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ ৷ তাঁদের গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় ৷ পরে সল্টলেকে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চের পাশ দিয়ে পার্টি অফিসে যাওয়ার সময়ও একইরকম গো-ব্যাক স্লোগান শুনতে হয় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে ৷
সেই নিয়েই এ দিন শুভেন্দু অধিকারী জানান, গো-ব্যাক স্লোগান জুনিয়র ডাক্তাররা দেননি ৷ বরং কাশ্মীরের আজাদি নিয়ে যাঁরা স্লোগান দেন, তাঁরাই এই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্য থেকে বারবার সরব হয়েছেন ৷ সেই প্রসঙ্গেই তিনি সিপিএমের কথা তোলেন ৷ তাঁর অভিযোগ, সিপিএম জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে ৷ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ‘সুরক্ষিত’ রাখতেই সিপিএম এই প্রচেষ্টা করছে বলে তাঁর অভিযোগ ৷
শুভেন্দুর দাবি, বিজেপি পতাকা ছাড়া অরাজনৈতিকভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে আছে ৷ নির্যাতিতার পরিবারেরও পাশে রয়েছে ৷ কিন্তু সিপিএম চায় না ডাক্তারদের আন্দোলন সফল হোক ৷ তাই রাষ্ট্রবাদী বিজেপির জনপ্রতিনিধি-নেতা-কর্মীদের এই আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছে তারা ৷
এই প্রসঙ্গে তিনি ড. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বৈঠকের প্রসঙ্গ তোলেন ৷ সেই বৈঠকের পরই স্পষ্ট যে আন্দোলন ভাঙতে তৃণমূল ও সিপিএম আঁতাত করছে, এমনই অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা ৷ তাঁর আরও দাবি, ‘‘পাঁচ শতাংশ ভোট কাটো, শুধু হিন্দু ভোট কাটো আর তৃণমূলকে রাখো ৷ এই ব্যবসা বন্ধ হবে এবারে ৷ হিন্দুরাই বন্ধ করবে ৷ সিপিএমের হিন্দুরাই বন্ধ করবে আমি বলে দিলাম ৷ এই সিপিএমের হিন্দুদের বড় অংশ উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে এসেছে ধর্মীয় কারণে ৷’’
এ দিন তৃণমূলের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তৃণমূলকে জাতীয়বাদ বিরোধী বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি ৷ তাই তাঁর আহ্বান, এবার সিপিএম-মূলকে এবার চিহ্নিত করতে হবে ৷