কলকাতা, 29 ফেব্রুয়ারি:গ্রেফতারির পরসন্দেশখালিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত ৷ ভবানী ভবনে তাঁকে ইতিমধ্য়েই নিয়ে আসা হয়েছে ৷ সোশাল মিডিয়ায় শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে তিনি প্রথমে দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সেফ কাস্টডিতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। এরপরই তিনি উত্তর 24 পরগনার রামপুরের জেলিয়াখালিতে গিয়ে তিনি বলেন, "মা-বোনেদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদের জেরেই গ্রেফতার হয়েছে শাহজাহান ৷"
শাহজাহানের গ্রেফতারির পর এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডেরেক ও'ব্রায়েন ও ব্রাত্য বসু ৷ সেখানেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বরখাস্ত করা হয় ৷ এরপরই সুর চড়ায় বিরোধীরা ৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "এখন গ্রেফতার, সাসপেন্ড সবটাই মুখ বাঁচানোর জন্য করছে তৃণমূল ৷ গতকাল তো তৃণমূল বলেছে কিছু হয়নি, কোনও ধর্ষণ হয়নি, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হয়েছে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়নি বরং পুলিশকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে শাহজাহান ৷ স্বাধীনতা সংগ্রামী বা অলিম্পিকে মেডেল নিয়ে এসেছে মনে হচ্ছে তার ওর হাঁটাচলা দেখে ৷ এর আগেও সুকান্ত ও শুভেন্দু গতকাল থেকেই সুর চড়িয়েছেন ৷
উল্লেখ্য, এদিন রামপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফের আটকায় পুলিশ। যদিও পরবর্তীতে পুলিশি বাধা পেরিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে একটা জায়গায় সই করানো হয় ৷ এদিকে গতকাল বুধবার শুভেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "মঙ্গলবার রাত 12টা নাগাদ উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালির বেড়মজুর-2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে শাহজাহানকে ধরেছে পুলিশ। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে 'চুক্তি' করেছেন।