কলকাতা, 16 জুলাই: বাংলায় সদ্য সমাপ্ত 4টি বিধানসভা উপনির্বাচনে (10 জুলাই) শাসক শিবির তৃণমূলের অত্যাচারের কারণে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অনেকেই ৷ মঙ্গলবার এই দাবি তুলে ভোটারদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছন রাজভবনে ৷ রাজ্যপালের কাছে অভিযোগও জানানো তিনি ৷
শতাধিক ভোটার নিয়ে রাজভবনে শুভেন্দু (ইটিভি ভারত) রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আমরা বলেছি, রাষ্ট্রপতি ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করাতে। আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চাইছি। একশো জনকে নিয়ে আজ এসেছিলাম, কিন্তু পুলিশ আটকে দিয়েছে আমাদের। কোন ভারতে আমি বাস করছি, হিন্দু হলে ভোট দিতেও পারব না ৷ দাঁতনে পুলিশ রামনবমীর পতাকা ছিঁড়েছে। পুরো রাজ্যে হিন্দুদের ভোট আটকানো হচ্ছে। একথা সংবিধানের প্রধানকে বলেছি।"
তিনি আরও বলেন, "ডায়মন্ড হারবার ও ক্যানিং-সহ একাধিক জায়গায় ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আমরা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাতেও যাব। কাউন্টিং সেন্ট্রাল থেকেও লাইভ করতে হবে।" এছাড়াও বিজেপি নেতা এদিন একাধিক জায়গায় পুলিশকে দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তোলেন। মানিকতলায় রাজু নস্কর ও শচিন বেলাঘাটা থেকে ভোট করিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ প্রচুর বঞ্চিত ভোটারকে রাজভবনের বাইরে ভিড় করতে দেখা যায় (তাঁরা দাবি করেন রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার ভোটার) ৷ তাঁরা প্রত্যেকেই এবার ভোট দিতে পারেননি। তাঁদের মুখেই বলতে শোনা যায়, তৃণমূলের লোকজন তাঁদের ভোট দিতে দেয়নি। ভয় পেয়েছেন তাঁরা ৷ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, "আমি সমস্ত কিছু সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করব। রায়গঞ্জ বিধানসভায় সমস্ত প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে তৃণমূল কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। আগে ছিল, বিরোধীদের ভোট দিতে দেব না ৷ আর এখন হিন্দুদের ভোট দিতে দেব না। তৃণমূল করলেই সব মাফ ৷ আগামী 21 জুলাই আমরা এখানকার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের 100টি কুশপুত্তলিকা পোড়াব।"