নলহাটি, 12 সেপ্টেম্বর: বাবাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছেলে মোশারফ শেখকে বেঁধে রাখেন প্রতিবেশীরা ৷ তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা। বীরভূমের নলহাটি থানার আমাইপুর গ্রামের ঘটনা।
বাঁশ দিয়ে পেটাতে পেটাতে মেরেই ফেলল বাবাকে ৷ স্থানীয়রা ছেলেকে ধরে বেঁধে রাখার পর পুলিশের হাতে তুলে দেয় (ইটিভি ভারত) স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নুরুল ইসলাম। গতকাল (বুধবার) রাত সাড়ে দশটা নাগাদ নলহাটি থানার আমাইপুর গ্রামের উওরপাড়ার বাসিন্দা নুরুল শেখ বাড়ির কাছে একটি বট গাছের নীচে বসেছিলেন। সেই সময় তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর বড় ছেলে মোশারফ শেখ পিছন থেকে এসে বাঁশ দিয়ে বাবাকে পেটাতে শুরু করেন। মারের অভিঘাত এতটাই ছিল যে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নুরুল শেখের। বাবাকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে দেখতেই প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি আসেন ৷ মোশারফ শেখকে একটি বাড়ির গ্রিলের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন তাঁরা ৷
এরপরই পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে নলহাটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোসারফ শেখকে গ্রেফতার করে। তবে কী কারণে ছেলে, বাবাকে পিটিয়ে খুন করল সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে জানা যায়নি। মৃত নুরুল শেখের দূর সম্পর্কে আত্মীয় ফিরোজ শেখ বলেন, "নুরুল বসেছিল, হঠাৎই ওর ছেলে পিছন থেকে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে নুরুল ড্রেনে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ার পর বাঁশ দিয়ে মারতে থাকে মোশারফ। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। কিন্তু কেন ওই বাবাকে মোশারফ মেরে ফেলল তা এখনও জানতে পারিনি। ছেলের উপযুক্ত শাস্তি হোক।"
আমাইপুর গ্রাম সংসদ আব্দুল আলিম রহিম বলেন, "ছেলে কেন বাবাকে মারল তা জানি না। আমরা সঠিক বিচার চাই।" ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নলহাটি থানার পুলিশ। পুলিশ মৃৎদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে৷