কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য একটু অন্য রকম ছিল । তিনি আজ প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন, তিনি কত বড় হিন্দু । বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে এমনটাই জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী ৷ বিধানসভার বাইরে সেই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একাধিক বিষয় তুলে ধরে একের পর এক আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা ৷ তাঁর কথায়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ 1 ঘণ্টা 22 মিনিট ধরে পাগলামো করেছেন । ওটাকে বক্তব্য বলা যায় না ।"
এরপর 'হিন্দুত্বের' প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু আরও বলেন, "উনি আতঙ্কিত ৷ উনি হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে হিন্দু ভোট এক হওয়ার জন্য আতঙ্কিত । উনি আতঙ্কিত হিন্দু শব্দে । উনি আতঙ্কিত তোষণের শব্দে । উনি আতঙ্কিত মা সরস্বতীর নামে, মা দুর্গার নামে এবং মা কালীর নামে । আজকের বক্তব্যে তাঁর সেই আতঙ্ক প্রকাশ পেয়েছে ৷
এখানেই শেষ নয় ৷ রাজ্যে বাংলাদেশি জঙ্গিদের আনাগোনা প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন প্রধান বিরোধী নেতা ৷ তাঁর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত মৌলবাদের নামে ও জঙ্গিবাদের নামে । মহাকুম্ভে হিন্দুদের ভিড় দেখে তিনি আতঙ্কিত ৷ রাজ্যের কয়েক কোটি মানুষ মহাকুম্ভে স্নান করতে গিয়েছিলেন । তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক পরিচিত সংসদ এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদও মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন ৷"
এদিন, বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, "আমার এই বয়সে শুনতে হবে, আমি জঙ্গি ।" মমতার সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "তিনি যা করছেন তাতে নিশ্চই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের হিন্দুরা এক হবে এবং ভোটে আপনাকে হারাবে । শুধু নন্দীগ্রাম নয়, সর্বত্রই হারবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷" সেই সঙ্গে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, "আমার শরীর যদি স্পর্শ হয়, তাহলে দায়ী থাকবে বাংলার পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।"
এরপরই 'মৌলবাদী' প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুখ্য়মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, "আজ আপনি প্রমাণের চেষ্টা করেছেন, আপনি কত বড় রাষ্ট্রবাদী ৷ আপনি মুসলিম লিগ করেন না, আপনি তোষণ করেন না ৷ কিন্তু আপনার বক্তব্যে 'পার্মানেন্ট ড্যামেজ' হয়ে গিয়েছে ৷" শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র তোষণের রাজনীতি করেন।
এরপরই মুখ্য়মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বিজেপি নেতা বলেন, "এর আগে CAA-কে NRC বলে সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় পর্যন্ত হেঁটেছিলেন । আপনাদের উস্কানিতে হাজারদুয়ারী এক্সপ্রেস পুড়েছে ৷ রেজিনগর এবং বেলডাঙাতে রেল স্টেশন পুড়েছে । CAA চালু হওয়ার পর 2024 সালে আপনি উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন ৷ কিন্তু কেউ আপনার ফাঁদে পা দেননি ।"