নয়াদিল্লি, 19 ফেব্রুয়ারি: দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর ডিজি স্তরের বৈঠক শুরু হল রাজধানীতে ৷ মঙ্গলবার ভারত ও বাংলাদেশের যথাক্রমে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর (বিজিবি) উচ্চস্তরের এই বৈঠক হয় নয়াদিল্লিতে ৷ 17 ফেব্রুয়ারি থেকে বিএসএফ-বিজিবি'র মধ্যে চার দিনব্যাপী সম্মেলনের সূচনা হয়েছে ৷ শেষ হবে 20 ফেব্রুয়ারি ৷
সরকারি সূত্রে খবর, এই বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেড়া দেওয়ায় বাধাদান, বিএসএফ কর্মী ও সাধারণ নাগরিকের উপর বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলা নিয়ে আলোচনা হবে ৷ গত বছরের 5 অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-গণ আন্দোলনের চাপে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ৷ এরপর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে ৷ বদল এসেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও ৷
এর আগে দ্বি-বার্ষিক বৈঠকের শেষ বৈঠকটি হয়েছিল গত বছরের মার্চ মাসে ঢাকায় ৷ দেশের পাঁচটি রাজ্যে 4 হাজার 96 কিমি দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ৷ পশ্চিমবঙ্গে 2 হাজার 217 কিমি, ত্রিপুরায় 856 কিমি, মেঘালয়া 443 কিমি, অসম 262 কিমি এবং মিজোরামে 318 কিমি ৷ এই জায়গাগুলিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ ৷
এরপর এই প্রথম দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মধ্যে উচ্চস্তরীয় বৈঠক হল ৷ এদিন লোধি রোডে বিএসএফ-এর সদর কার্যালয়ে বাংলাদেশ গার্ড বর্ডার-এর (বিজিবি) প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অফ হনার জানানো হয় ৷ এরপর 55তম ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) স্তরের বর্ডার কোঅর্ডিনেশন কনফারেন্স-এর সূচনা হয় ৷
সোমবার বাংলাদেশের বিজিবি প্রতিনিধি দল ভারতে এসে পৌঁছায় ৷ নয়াদিল্লিতে তাঁদের ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বিএসএফ-এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধরী ৷ গত সপ্তাহে বিএসএফ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল যে, সীমান্ত সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা হবে ৷ পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্কে উন্নতির দিকটিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷