শিলিগুড়ি, 12 জুলাই:টাস্ক ফোর্স বেরিয়ে যেতেই ফের চড়া দামে বিকোচ্ছে সবজি । খবর পেয়ে ময়দানে শিলিগুড়ি পুরনিগম ৷ রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের কর্তারা । সবজির দাম বাড়ায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ। হেঁশেলের বাজেট বেড়েছে অনেকটাই। সবজির মূল্যে রাশ টানতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত হয় টাস্ক ফোর্স।
বাজারদর নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে মেয়রের (ইটিভি ভারত) পুলিশ, কৃষি, বাণিজ্য বিভিন্ন দফতর একত্রিত হয়ে টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা শিলিগুড়ির পাইকারি বাজার থেকে খুচরো বাজার, সব জায়গায় হানা দেন ৷ কিন্তু টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা বাজার থেকে বেরিয়ে যেতেই ফের সবজির চড়া দাম দেখে মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের । টাস্ক ফোর্সের কাছে দেওয়া ব্যবসায়ীদের তথ্যের সঙ্গে মিল থাকছে না দামের । ক্রেতাদের অভিযোগ, পুলিশ-সহ অধিকর্তাদের দেখলেই দাম কমে যাচ্ছে ৷ কিন্তু তাঁরা বাজার থেকে চলে যাওয়ার পরই ফের চড়া দামে বিকোচ্ছে সবজি ।
এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে বাজারের মূল্য নির্ধারণে মাঠে নামলেন খোদ শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র । সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সাফ জানান, দামে রাশ টানতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷ কৃষি দফতরের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবাশিস ঘোষ বলেন, "আমরা প্রতিদিন বাজার পরিদর্শনে যাচ্ছি । বিক্রেতারা সঠিক দাম ক্রেতাদের থেকে না নিলে আইনা মেনে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে । তবে অনেক অভিযোগ আমরাও পাচ্ছি ৷ ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, আমরা চলে যাওয়ার পর বিক্রেতারা চড়া দামে সবজি বিক্রি করছেন ।"
বিক্রেতা রানা ঘোষ বলেন, "টাস্ক ফোর্সের কর্তারা পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ন্ত্রিত বাজার পরিদর্শনে যাচ্ছেন । কাজেই কেউই সঠিক দামের তথ্য তাঁদের দেবেন না। তাঁরা ক্রেতা হিসেবে গেলেই বাজারের আসল তথ্য তাঁদের সামনে আসবে । আজ নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে আদা কিনছি 160 টাকায় । বিক্রি করছি 190 থেকে 200 টাকায় । এভাবে সমস্যার সমাধান হবে না ।"
জেলাশাসক প্রীতি গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র গৌতম দেব। অনিয়ন্ত্রিত মূল্য বৃদ্ধিকে কীভাবে স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা যায়, তা নিয়ে একাধিক পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র । তিনি বলেন, "দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক, এসডিও-সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী যা নির্দেশ দিয়েছেন তা যেন পালন হয় সেগুলো নিয়েও কথা হল । টাস্ক ফোর্সের পরিদর্শনের পরই দাম বেড়ে যাচ্ছে । পাইকারি দাম আর খুচরো দামের অনেক পার্থক্য থাকছে ।" সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "কাজটা জেলা প্রশাসন থেকেই করতে হবে । নির্বাচিত প্রতিনিধিদের থেকেও সরকার বা জেলা প্রসাশন কাজটা করলে ভালো । তবে সারপ্রাইজ ভিজিটও হবে । এই আর্টিফিশিয়াল দ্রব্য মূল্যকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে ।"