কলকাতা, 9 মে: উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকেই নয়া স্বপ্নের উড়ানে পাড়ি দেন পড়ুয়ারা ৷ কেউ ডাক্তার হতে চান, কেউ বা ইঞ্জিনিয়র ৷ ফলপ্রকাশের পর থেকে নতুন উদ্যোমে আগামীর পথে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছেন এবছর উচ্চমাধ্যমিকের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীরা ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম হওয়া স্কটিশ চার্চ স্কুলের ছাত্র সৌনক কর। রাজ্যের মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে সে। বিষয় ছিল পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিদ্যা, স্ট্যাটিস্টিক, অঙ্ক, বাংলা ও ইংরেজি। ভবিষ্যতের গবেষণার পথে হাঁটতে চান তিনি। যার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে সৌনকের।
কলকাতা থেকে প্রথম হওয়ার পর সৌনক ইটিভি ভারতকে জানান, প্রথমে বিশ্বাস হয়নি ৷ ভাবলাম অন্য স্কুলের হবে ৷ তারপর বন্ধুরাও ফোন করে জানাল আমি পঞ্চম হয়েছি ৷ তখন খুব ভালো লেগেছে ৷ 5-6 ঘণ্টা করে পড়তাম ৷ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার ভীষণ সাহায্য করেছেন ৷ পাশাপাশি কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের থেকেও সাহায্য পেয়েছি ৷ তিনি আরও জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি ভালোবাসেন ক্রিকেট খেলতে এবং গল্পের বই পড়তে। প্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্তমান যুগে ছেলেমেয়েদের মধ্যে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি রয়েছে। সে বিষয়ে রাজ্যে পঞ্চম স্থানাধিকারী সৌনকের মত, মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ফোনের কোনও দরকার পরে না। একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে অনেক কিছু তথ্য আমরা ইন্টারনেটের সহযোগে পাই। সেটার জন্য 1-2 ঘণ্টা ফোন লাগতে পারে। তবে এখন বাচ্চারা ফোন ব্যবহার করে বিনোদনের জন্য। সেটা একদম উচিত নয়। উচ্চমাধ্যমিকের পর যত ইচ্ছা ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে ৷
সৌনকের মা জানান, ছেলের নাম টিভিতে শুনে ভীষণ ভালো লেগেছে ৷ মনে হয়েছিল, এক থেকে দশের মধ্যে ছেলের নাম থাকবে ৷ প্রয়োজন না-হলে মোবাইলের ব্যবহার সৌনক সেভাবে করতেন না বলে জানান সৌনকের মা ৷