নয়াদিল্লি, 17 সেপ্টেম্বর: আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই ৷ মঙ্গলবার সেই দুর্নীতির রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত ৷ এদিন সকালে আরজি করের পড়ুয়া-চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার তৃতীয় শুনানির সময় দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ৷
গত 9 অগস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালের চারতলায় সেমিনার হল থেকে পড়ুয়া-চিকিৎসকের বস্ত্রহীন দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ জানা যায়, তাঁকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ৷ এর 24 ঘণ্টার মধ্যে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার বর্তায় সিবিআই-এর উপর ৷
এদিকে গত 23 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি ৷ এই মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতির তদন্ত ভার দেয় সিবিআইয়ের হাতে ৷ সেই মামলায় 2 সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ পরে এই তদন্তে যোগ দেয় ইডি ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর দুর্নীতির তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ ৷ কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত ৷ এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ সিবিআই-কে নির্দেশ দেয়, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পাশাপাশি দুর্নীতির তদন্তে স্টেটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে হবে ৷
আরজি কর হাসপাতালের পড়ুয়া-চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এদিন সিবিআই স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে ৷ সেই রিপোর্ট দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন তিন বিচারপতি ৷ তাঁরা এই রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশ্য আদালতে কিছু বলতে রাজি হননি ৷ কারণ, তাতে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে ৷