কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর:আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সংসদ শান্তনু সেন । আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায় । এমনকি থ্রেট কালচারের কথাও উল্লেখ করেছিলেন শান্তনু সেন । তাঁকেও বিভিন্নভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি । তারই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়েকেও এই ধরনের ঘটনার শিকার হতে হয়েছে । এই নিয়ে এবার শান্তনু-কন্যা সৌমিলী সেন মুখ খুললেন ইটিভি ভারতের কাছে ৷
শান্তনু সেন যে হেনস্থার কথা বলেছিলেন, তা সবই সত্যি বলে স্বীকার করে নিয়েছেন সৌমিলী ৷ তাঁর কথায়, এই থ্রেট কালচার আরজি করের বুকে গড়ে উঠেছে সন্দীপ ঘোষের আমলে । আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমবিবিএস-এর ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী সৌমিলী সেন । বুধবার থ্রেট কালচার নিয়ে তদন্ত কমিটির শুনানিতে সাক্ষী দেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল । মূলত যে 12 জন 'হুমকির সংস্কৃতি' ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে, তা জানতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডেকে পাঠায় ।
শান্তনু সেনের কন্যা সৌমিলী (নিজস্ব ভিডিয়ো) সাক্ষী দেওয়ার পর তিনি জানান, "2020 সালে করোনার পর যখন সন্দীপ ঘোষ স্যার আমাদের মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে আসেন, তারপর থেকেই শুরু হয় থ্রেট কালচার । সেই সময় আমি প্রথম বিভাগের ছাত্রী । বিভিন্নভাবে আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে । কখনও শারীরিকভাবে, কখনও বা কথার মাধ্যমে । আমি যদি কোনও জুনিয়রকে ডাকি, তখন তাঁদেরকে বলা হত যেন তাঁরা না-যায় ।"
এই দিন তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছিলেন আশিস পান্ডে । যাঁকে আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা নাম দিয়েছেন, 'থ্রেট কালচারের জনক' হিসেবে । এই আশিস পান্ডের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন সৌমিলী । তিনি জানান, "ব্যক্তিগতভাবে আশিস পান্ডে আমাকে হেনস্তা করেছেন । সেই নিয়ে কোনওদিন কথা হয়নি । অভিযোগ করে কোনও লাভ হত না ৷ কারণ সবকিছুর মাথাতেই বসে থাকতেন সন্দীপ ঘোষ । আমরা ধরেই নিয়েছিলাম কোনওদিন এই সমস্যার সুরাহা হবে না ।"
সৌমিলীর কথায় বোঝা গেল, বর্তমান পরিস্থিতিতে একটু হলেও তাঁরা আশ্বস্ত । তিনি বললেন, "আমরা অন্তত অভিযোগগুলো বলতে পারছি । আশা রাখব এঁদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।"