সোদপুর, 8 অক্টোবর: মেয়ের উদ্যোগেই দুর্গাপুজো শুরু হয় বাড়িতে। পুজোর চারদিন বাড়ি লোকজনের ভিড়ে কার্যত গমগম করত। আনন্দ, হই-হুল্লোড়ে সকলের সঙ্গে মেতে উঠতেন চিকিৎসক তরুণীও। আজ সেসব অতীত। আর ফিরে আসবে না মেয়ে। হবে না মায়ের আরধনাও।
তাই, মেয়ে হারানোর যন্ত্রণা বুকে চেপে রেখেই পুজোর আবহে বাড়ির সামনে মঞ্চ বেঁধে মহাপঞ্চমীতে ধরনায় বসলেন নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার । মেয়েকে স্মরণ করতে এবং সুবিচার পেতেই এই উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা-মায়ের পাশাপাশি কাকা, কাকিমা-সহ পরিবারের বাকি সদস্যরাও যোগ দেন এই অবস্থানে ।
প্রথমে ঠিক ছিল মহাষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত তাঁরা ধর্না অবস্থানে বসবেন। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন একদিন আগেই মহাপঞ্চমী থেকে প্রতিবাদ শুরু করবেন । সেই মতো পঞ্চমীর বিকেলে ধরনা মঞ্চে এসে অবস্থানে বসেন নির্যাতিতার পরিবার। মেয়ের স্মৃতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁকে স্মরণও করেন পরিবারের সদস্যরা ।
ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য :
অবশ্যই ন্যায়বিচার মিলবে। সেই আশা ভরসা রয়েছে। আন্দোলন, গণ ইস্তফা দিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন সকলে। কিন্তু তারপরও রাজ্য সরকারের থোড়াই কেয়ার মনোভাব । উনি (মুখ্যমন্ত্রী) নানারকম অযৌক্তিক কথাবার্তা বলে চলেছেন। কীভাবে রাজ্য প্রশাসন চালাবেন, সেটা ওঁর ব্যাপার । সেই বিষয়ে আমরা কিছু বলে দেব না । তবে উনি প্রশাসন যে ঠিকমতো চালাচ্ছেন তা ভালোই বুঝতে পারছি। এর ফলেই আজকের পরিস্থিতি। আরজি করের রেশ যদি অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজেও ঘটে তাহলে তার কুফল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পড়বেই । এতে কোনও সন্দেহ নেই ।