দাসপুর, 17 অগস্ট:এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত আরজি করের চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃ্ত্যু ৷ গত সপ্তাহের শুক্রবারে রাজ্যের প্রথম সারির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ ৷ কয়েকঘণ্টার মধ্যেই জানা যায় ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্যরাজনীতি ৷
প্রতিবাদে 14 অগস্ট রাতে 'মেয়েদের রাত দখল' কর্মসূচির ডাক দেয় শহরবাসী ৷ সেই কর্মসূচির মধ্যেই ঘটে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ৷ ঘটনার সময়ে উপস্থিত ছিলেন এক নার্সিং পড়ুয়া ৷ সেই রাতের পর আতঙ্ক আছেন তিনি ৷ বৃহস্পতিবার ফিরে এসেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাড়িতে ৷ প্রতিবাদ মিছলে যোগ দিয়েছেন ৷ শোনালেন তাঁর অভিজ্ঞতা ৷
ওই নার্সিং পড়ুয়া জানান, আরজি কর হাসপাতালে নার্সিং স্টুডেন্ট, ইন্টার্নশিপ করছেন তিনি । এটা তাঁর প্রথম বছর । একের পর এক যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন ৷ বুধবার রাতে বাইরের লোক ঢুকে তাণ্ডব চালায় ও তারা ধর্ষণ করার থ্রেট দেয় বলে অভিযোগ ৷ যার জন্য ভয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি । পড়াশোনাও শেষ হয়নি তাঁর ৷ রোগী মৃত্যু নিয়ে পেসেন্ট পার্টি অনেক অশান্তি করলেও সেগুলো অন্য ব্যাপার। বর্তমানে যেটা চলছে, সেটা অত্যন্ত ভয়ংকর বলে মনে করেন ওই ছাত্রী ৷
আগের রাতের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁপে উঠে পল্লবী। সে বলে, "প্রায় তিন হাজার লোকের একটা দল ঢুকে যায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে। পুলিশ অন্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার আগে নিজে নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ওরা পেসেন্ট পার্টির চাদর নিয়ে লুকিয়ে ছিল সেই ঘটনায়। যদিও সকালে ওই পুলিশ পেসেন্ট পার্টিকে 500 টাকা দিয়ে গিয়েছে রাত্রে চাদর দিয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য ৷ আমি আমার সহপাঠীরা কোনওরকমে বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম ৷ কিন্তু সেখানেও দরজায় হামলা করা হয় ৷" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি ৷