কলকাতা, 15 অগস্ট: বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি মানার আশ্বাসে আরজি কর কাণ্ডে প্রাথমিকভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আবাসিক চিকিৎসকরা । কিন্তু, বুধবার রাতে আরজি করে হামলা ও ভাঙচুরের পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন তাঁরা।
14 অগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (FORDA) ফের ধর্মঘট শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে, 13 অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছিল আবাসিক চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন ।
বুধবার রাতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল শহরজুড়ে বিভিন্ন প্রান্তেই দেখা গিয়েছে ৷ কিন্তু, রাত বাড়তেই আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাঙ্গণে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর । এই ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনাকে আরজি কর কাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করার 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ' হিসেবে দেখছেন আন্দোলনরত চিকিৎসক ও বিরধীদের একাংশ । এ ঘটনায় অন্তত 15 জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ফের দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক আবাসিক চিকিৎসকদের (ইটিভি ভারত) 15 অগস্ট জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (FORDA) বলেছে: "এর পর থেকে যে ঘটনাগুলি ঘটেছে, বিশেষ করে গত রাতের হিংসার ঘটনা আমাদের সবাইকে হতবাক ও ব্যথিত করেছে । এটি আমাদের পেশার ক্ষেত্রে একটি অন্ধকার অধ্যায়। এই অবস্থায় আমরা অবিলম্বে ফের কর্মবিরতি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি । শীঘ্রই রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন-সহ অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব ।"
স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রের পেশাদারদের (চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রের অক্ষমতারও নিন্দা করেছে আবাসিক চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচিতে আরজি করে 'গুণ্ডারাজ' চলেছে । এই নিয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে । বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্যের শাসকদল তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে । এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতির সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "এই দুর্বৃত্তরা কোন ওয়ার্ড থেকে কোন তৃণমূল নেতার নির্দেশে এসেছে, তার রেকর্ড, ভিডিয়ো, তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে আছে ৷ আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব ।"