খানাকুল, 24 ফ্রেব্রুয়ারি: চুরির অপবাদে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ৷ শুধু মারধরই নয়, চোখের তলায়, শরীরের গোপনাঙ্গে লঙ্কা ঘষে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ৷ বর্তমানে নির্যাতিতা আরামবাগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ অভিযোগ পুলিশ আধিকারিক তুষার মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৷ অভিযুক্ত পুলিশকে সাসপেন্ড করেছে পুলিশ প্রশাসন ৷
ঘটনাটি হুগলির খানাকুলের মালঞ্চ এলাকার ৷ ঘটনার জেরে শুক্রবার বিকেলে ওই ফাঁড়ির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে গ্রামবাসীরা ৷ পাশাপাশি ঘটনার তীব্র নিন্দা করে খানাকুল থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বামেরা ৷ এদিকে ঘটনার জেরে গৃহবধূর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ওই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ এর সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ এছাড়া আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, জানিয়েছেন হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন ৷ একজন পুরুষ পুলিশ আধিকারিক হয়ে কীভাবে এক মহিলার উপর অত্যাচার চালালেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এলাকায় ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুলের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চ এলাকায় খানাকুল থানার পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই একটি প্রাইমারি স্কুল আছে ৷ সেই স্কুলেরই ছাত্র ওই নির্যাতিত গৃহবধূর নাবালক ছেলে ৷ কয়েকদিন আগে ফাঁড়ির বড়বাবু তুষার মণ্ডলের একটি সোনার ব্রেসলেট হারিয়ে যায় ৷ আর সেই ঘটনায় ওই পুলিশ আধিকারিক নির্যাতিতা গৃহবধূর শিশুসন্তানকে সন্দেহ করেন ৷ অভিযোগ, এরপরই ব্রেসলেট ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার ওই গৃহবধূকে চাপ দিচ্ছিলেন পুলিশ আধিকারিক তুষার মণ্ডল ৷ ওই গৃহবধূ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তিনি কোনও গয়না পাননি ৷