মেমারি, 15 জুন:রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতের এই ঘটনা শনিবার জানাজানি হওয়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। মেমারি থানার পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে বলেও জানা গিয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো খাওয়াদাওয়া শেষ করে শুক্রবার রাতে বছর বারোর নাতনিকে নিয়ে ঘুমাতে যান বছর আটচল্লিশের ঠাকুমা। গভীর রাতে ঠাকুমা বাথরুম যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বেরোন। অভিযোগ, সেইসময় দুই দুষ্কৃতী ওই বাড়ির রান্নাঘরে ওত পেতে ছিল। তিনি বাথরুম যেতে গেলে তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। দুষ্কৃতীদের মুখ বাঁধা ছিল বলে জানা গিয়েছে । মধ্যবয়সী ওই মহিলাকে গলার কাছে বঁটি ধরে হাত চেপে ধরে ঘরে নিয়ে যায় তারা । এর মধ্যে কথাবার্তায় নাতনির ঘুম ভেঙে যায়। ভয়ে নাতনি ঘরের কোণে বসে থাকে। অভিযোগ, ওই নাবালিকার সামনেই ঠাকুমাকে গণধর্ষণ করে ওই দুষ্কৃতীরা ৷
এদিন নির্যাতিতা বলেন, "রাত দু'টো নাগাদ বাথরুম যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠি। তখন দেখি ছেলেগুলো রান্নাঘরে। তারা আমার হাত দু'টো টিপে ধরে। একটা বঁটি নিয়ে গলার কাছে ধরে ভয় দেখিয়ে বলে চিৎকার করলেই গলা কেটে দেব। আমি ভয়ে কিছু বলিনি। আমার নাতনি ছিল ঘরে। এরপর দু'জনে মিলে আমাকে ধর্ষণ করে। মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। দু'জনেরই মুখ বাঁধা ছিল। তাদের কাউকে চিনতে পারিনি।" মেমারি থানার পুলিশ জানিয়েছে, দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করা হচ্ছে।
এরপর তার ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় ঠাকুমার মোবাইল। ওই মধ্যবয়সী মহিলা চেঁচামেচি করলে তারা পালায় ৷ এদিকে পুলিশের কাছে খবর, মেমারি থানার পুলিশ দুষ্কৃতীদের তাড়া করে। তারা রেললাইন ধরে ছুটছিল। পুলিশকে দেখে পাশের একটি পুকুরে একজন ঝাঁপ দেয়। পুলিশ তাকে জল থেকে তুলে গ্রেফতার করে। পরে আরেকজনকে পুলিশ হাওড়া-বর্ধমান মেনলাইনের নিমো স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ৷ শনিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়।