কোচবিহার, 3 জুলাই: পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাসিত রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় ৷ সাসপেন্ড হওয়া সত্ত্বেও আব্দুল কাদের সাফেলি জবরদস্তি তাঁর অফিসের তালা ভেঙে চেয়ারে বসেন বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধেও কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন উপাচার্য ৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলে দিনভর উত্তাল হয়েছিল কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ৷ অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসপেন্ড হওয়া রেজিস্ট্রার অফিসের তালা ভেঙে জোর করে ভিতরে ঢোকেন ৷ খবর পেয়ে উপাচার্য সেখানে গেলে তাঁকে হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে ৷ যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য এবং কয়েকজন অশিক্ষক কর্মী উপস্থিত ছিলেন ৷ তারা পাল্টা উপাচার্যের ঘরে তালা লাগিয়ে দেয় ৷ এমনকী উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসা উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে হেনস্তা করারও অভিযোগ উঠেছে ৷
এই ঘটনায় উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় বলেন, "উনি উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন না ৷ কিন্তু দেখলাম মঙ্গলবার সকালে উনি জোর করে তালা ভেঙে ওই ঘরে ঢুকেছেন, এটা বেআইনি ৷ ওনার এই কাজে কিছু অশিক্ষক কর্মীও মদত দিয়েছেন ৷ তাই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷"
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক নিখিলচন্দ্র রায়কে নিয়োগ করেছিলেন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরেই রেজিস্ট্রারের সঙ্গে নানান বিষয়ে মতোবিরোধ শুরু হয় ৷ তাঁর বিভিন্ন কাজে অসহযোগিতা করা হয় বলে অভিযোগ ৷ এরপরেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে রেজিস্ট্রারকে সাসপেন্ড করেন উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় ৷
সাসপেন্ড হওয়ার পর, কয়েকদিন আব্দুল কাদের সাফেলি অফিসে আসেননি ৷ কিন্তু, গতকাল সকালে হঠাৎই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে রেজিস্ট্রার অফিসে যান ৷ সেখানে আগে থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য এবং বেশ কয়েকজন অশিক্ষক কর্মী হাজির ছিলেন ৷ তারাই অফিসের তালা ভেঙে রেজিস্ট্রারকে ঘরে ঢোকায় বলে অভিযোগ ৷