কলকাতা, 26 মে: সাগর দ্বীপ ও ক্যানিংয়ের আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ৷ দুর্যোগের ঠিক 48 ঘণ্টা পরেই স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যাবেন শ্যামবাজার নেতাজি মূর্তির পাদদেশে। আবার তার পরের দিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাঁটবেন নেতাজি মূর্তির পাদদেশ থেকে স্বামীজির বাড়ি পর্যন্ত। ঝড়ের পর দেশের দুই 'হেভিওয়েট' নেতা-নেত্রীর প্রচারের পথ সুগম করাই এখন বড় চ্য়ালেঞ্জ কলকাতা পৌরনিগমের কাছে ৷ ভোটের মুখে সামান্য ভুলেই বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পরতে হবে পৌর কর্তৃপক্ষকে।
পৌরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "সবকিছু ঠিকঠাক না হলে দায় আসবে আমাদের উপরেই। এটা আমাদেরই কাজ ৷ 100 শতাংশ দিয়ে কাজ করব যাতে প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলে রাজপথ সুগম থাকে ৷ শুধু তাই নয়, ভোটের সময় রাজনৈতিক ইস্যু যাতে পৌর সমস্যা না হয়, সেদিক থেকেও প্রস্তুত থাকছি আমরা।"
আরও পড়ুন:ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ! চূড়ান্ত তৎপরতা পৌরনিগমে, ঘুরে দেখল ইটিভি ভারত
মূলত, দুর্যোগের কারণে মুষলধারে বৃষ্টির পাশাপাশি গাছ উপড়ে পড়া নতুন বিষয় নয় ৷ জমা জল সরানো এবং গাছ সরিয়ে ফেলা সবটাই দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে পৌর আধিকারিকদের ৷ শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর পথ নয়, গোটা কলকাতায় ভোটের আগে জল-যন্ত্রণা বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে মুক্তি, গাছ উপড়ে রাস্তা বন্ধ হওয়ার মতো সমস্যা যাতে না হয়, সেই দিকে থাকছে কড়া নজরদারি ৷ দুর্যোগের পর যাতে বিরোধীরা এগুলিকে ইস্যু করতে না পারে, তার চেষ্টাই পৌরনিগমের তরফে করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷
মূলত, আমফানের পর শহরের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে প্রায় 15 দিনের বেশি সময় লেগেছিল। বিপর্যয়ের ছবি দেখাতে রাজ্যের আবেদনে সারা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও আকাশ পথে ঘুরে দেখেছিলেন পরিস্থিতি। আর্থিক প্যাকেজও ঘোষণা করেন। তবে এবার শেষ দফা নির্বাচনে কলকাতায় প্রচারে আসছেন তিনি। পরিস্থিতি একেবারে আলাদা। পথে সামান্য বিপত্তি হলেই তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন যে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য !
আরও পড়ুন:ধেয়ে আসছে 'রেমাল', আতঙ্কের প্রমাদ গুনছে 'ভুক্তভোগী' হিঙ্গলগঞ্জ