হরিরামপুর, 27 এপ্রিল: "আমি কি রিফিউজি হয়ে গিয়েছি ?", দাওয়ায় বসে বারবার এই কথা বলছিলেন প্রৌঢ়া ৷ শুক্রবার, 26 এপ্রিল দেশজুড়ে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন হয়েছে ৷ তার মধ্যে অন্যতম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট কেন্দ্র ৷ এই কেন্দ্রের ভোটার কল্পনা আচার্য ৷
এদিন তিনি নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি ৷ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই ৷ স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সত্তরোর্ধ্ব প্রৌঢ়া ৷ শুধু তিনিই নন, এভাবেই ভোটার তালিকা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে 43 জন মহিলা ভোটারের নাম ৷ এতে স্বভাবতই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ কল্পনা আচার্য বিডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন ৷ কিন্তু তাঁকে পাননি ৷ কাজেই প্রৌঢ়ার ভোট দেওয়াও হয়নি ৷ তাতেই শঙ্কিত কল্পনা দেবীর প্রশ্ন, ভোট দিতে না-পারার কারণ কি ? তিনি হঠাৎ শরণার্থী হয়ে গেলেন ?
ভোটের দিন ঘোষণার ক'দিন আগে 11 মার্চ দেশে সিএএ কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সিএএ কার্যকর হওয়ার আগে থাকতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে নতুন করে নাগরিকত্বের আবেদন জানাতে নিষেধ করে চলেছেন ৷ তিনি বলেছেন, নাগরিকত্বের আবেদন জানালেই সেই আবেদনকারী শরণার্থী হয়ে যাবেন ৷ তাঁর প্রতিটি জনসভাতেও সিএএ-এনআরসি প্রসঙ্গ উঠেছে ৷ তিনি এনিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন ৷