দুর্গাপুর, 25 ফেব্রুয়ারি: পানাগড়ে সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়েরের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার কি যাচ্ছে সিআইডির হাতে ? এই প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে ঘোরাফেরা করার কারণ হল, মঙ্গলবার সকালে কাঁকসা থানায় দেখা যায় সিআইডির তিন কর্তাকে । দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়িকে দীর্ঘক্ষণ নিরীক্ষণ করেন সিআইডির আধিকারিকরা ৷ গাড়িগুলোর বিভিন্ন দিক থেকে ছবি তোলেন তাঁরা ৷
ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কাঁকসা থানার পুলিশের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা গেল সিআইডি'র আধিকারিকদের । পাশাপাশি তদন্তকারীরা দুর্ঘটনাস্থলেও যাবেন বলে পুলিশ জানা গিয়েছে । যদিও পানাগড়-কাণ্ডের তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়ার কথা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে এখনও কিছু বলা হয়নি ।
প্রসঙ্গত, রবিবার গভীর রাতে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার পানাগড়ের রাইস মিল মোড়ে গাড়ি উলটে মৃত্যু হয় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার ম্যানেজার হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের (26) । কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল ৷
সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, "নিহত যুবতী যে গাড়িটিতে ছিলেন সেই গাড়িটি এবং সাদা রংয়ের ক্রেটা গাড়িটির মধ্যে রেষারেষি চলছিল । কোনও ইভটিজিংয়ের ঘটনার কথা অভিযোগে উল্লেখ নেই । পুলিশ সমস্ত জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে ৷ তাতে একটি জায়গায় দেখা গিয়েছে, যুবতী যে গাড়িটিতে ছিলেন সেই গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে । তারপরেও সাদা রংয়ের ক্রেটা গাড়িটির পিছনে ধাওয়া করে মৃতার গাড়ি ।"
যুবকদের বিরুদ্ধে সুতন্দ্রাকে কটূক্তির অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার । তিনি জানান, এরকম কোনও অভিযোগ তাঁদের কাছে অন্তত জমা পড়েনি । পালটা পুলিশ কমিশনার প্রশ্ন তুলেছেন, সুতন্দ্রা এবং তাঁর সঙ্গীদের গন্তব্য যখন ছিল গয়া, তখন কেন ওই রাস্তায় গলির মধ্যে গাড়ি নিয়ে গেলেন তাঁরা ? কারণ গয়া যেতে হলে তাঁরা দু'নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারতেন ।
সমস্ত বিষয়ে ফরেনসিক তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার । এদিকে মৃতার মা দাবি জানিয়েছেন, পানাগড়ে মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত সত্য উদঘাটিত হোক । দোষীদের কঠোরতম শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন তিনি ।