কলকাতা, 15 জুলাই: আকাশে মেঘের দেখা মিললেও বৃষ্টির পরিমাণ কম দক্ষিণবঙ্গে ৷ আপাতত 25 জুলাই পর্যন্ত এমনই অবস্থা থাকবে দক্ষিণবঙ্গে । অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গেও কমতে চলেছে বৃষ্টির দাপট ৷ আগামী দু-একদিন উত্তরের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও অতিভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই ৷
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত (ইটিভি ভারত) আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 33 ডিগ্রি এবং 28 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে । দিনের আকাশ থাকবে মেঘলা ৷ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 33. 6 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 0.8 ডিগ্রি সেলিসিয়াস বেশি । সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 28.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি । বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ 92 শতাংশ এবং সর্বনিম্ন 67 শতাংশ । গত 24 ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 17.5 মিলিমিটার ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গে সামগ্রিকভাবে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে এই বছর ৷ উত্তরবঙ্গের চিত্রটা আলাদা ৷ বর্ষা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির দাপটে বানভাসী রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা ৷ তবে এবার সেখানেও ধীরে ধীরে কমতে চলেছে বৃষ্টির দাপট ৷ 15 জুলাই দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা ৷ বাকি জেলাগুলিতে রয়েছে কেবল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির ৷ ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ ৷
তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উপকূলের জেলাগুলিতে ঘাটতি সবথেকে বেশি । নদিয়াতে দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সর্বোচ্চ 56 শতাংশ ঘাটতি রয়েছে । পশ্চিম মেদিনীপুরে 52 শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি, মুর্শিদাবাদ জেলাতে 46 শতাংশ ঘাটতি, পশ্চিম বর্ধমানে 34 শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি, হুগলিতে 34 শতাংশ ঘাটতি রয়েছে বৃষ্টির ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী 16, 17 এবং 18 জুলাই সমগ্র বঙ্গে কোনও সতর্কবার্তা নেই ৷ 16 জুলাই উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত ৷ তবে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ আগামী 17, 18, 19 ও 20 জুলাই উত্তরে উপরের 5 রাজ্য অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও, বাকি জেলাগুলিতে হবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ৷ দক্ষিণবঙ্গেও চিত্রটা একই থাকবে ৷