পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 5, 2024, 5:07 PM IST

Updated : Sep 5, 2024, 7:55 PM IST

ETV Bharat / state

হোয়াটসঅ্যাপে ছাত্রীকে আপত্তিকর মেসেজ কর্মীর ! উত্তেজনা মেদিনীপুরের কলেজে - Midnapore College Autonomous

Midnapore College Autonomous: মেদিনীপুর কলেজের ব়্যাগিং ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর এবার সামনে এল মেডিনীপুর কলেজ (অটোনমাস)-এর এক কর্মীর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ৷ এক ছাত্রীর অভিযোগ, আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়ে তাঁকে উত্যক্ত করেন কলেজের এক কর্মচারী ৷ তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা ৷

ETV BHARAT
হোয়াটসঅ্যাপে ছাত্রীকে আপত্তিকর মেসেজ কর্মীর ! (নিজস্ব চিত্র)

মেদিনীপুর, 5 সেপ্টেম্বর: আরজি করের ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে জনরোষ ৷ জাস্টিসের দাবিতে রাত জেগে গলার শিরা ফাটাচ্ছে রাজ্য ৷ গণ আন্দোলনের এই রূপ বাংলার মানুষ এর আগে কবে দেখেছিল, ঠাহর করতে পারছে না ৷ এরই মাঝে আরও এক গুরুতর অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস)-এ ৷

হোয়াটসঅ্যাপে ছাত্রীকে আপত্তিকর মেসেজ কর্মীর ! (নিজস্ব ভিডিয়ো)

ওই কলেজের এক অশিক্ষক কর্মী দিনের পর দিন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করেন বলে অভিযোগ ৷ এনিয়ে কলেজের গ্রিভান্স সেল এবং মহিলা সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ তার ভিত্তিতে ওই কর্মীকে ছুটিতে পাঠিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷ অভিযোগ স্বীকার করে এই ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে তারা ৷

আরজি করের চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এখনও রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ ঠিক সেই সময় মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস)-এর এক অশিক্ষক কর্মীর অশ্লীল হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন সামনে এসেছে ৷ এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কলেজে ৷ সেই কথোপকথন থেকে প্রকাশ পেয়েছে, ওই অশিক্ষক কর্মী সত্যরঞ্জন দাস প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে দিন-রাত উত্যক্ত করতেন ৷ আপত্তিকর মেসেজও পাঠাতেন ৷ ওই ছাত্রী গোটা ঘটনাটি তাঁর ক্লাসের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের খুলে বলেন ৷ বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয় ৷ তার ভিত্তিতে অস্থায়ী ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সত্যরঞ্জনকে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ ৷

কিন্তু কয়েকদিন পর সত্যরঞ্জন ফের কাজে যোগদান করেন ৷ এরপরেই সত্যরঞ্জনের শাস্তি-সহ বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে দেয় সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ৷ একই দাবিতে সরব হন পড়ুয়ারাও ৷ পড়ুয়া এবং ছাত্র সংগঠনের দাবিতে সুর মিলিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ৷ তাঁরা এনিয়ে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত দাবি জানান ৷ একই দাবি জানায় কলেজের গ্রিভান্স সেল ও ছাত্রীদের সুরক্ষার জন্য গঠিত কমিটি ৷ এসবে দৃশ্যতই চাপে পড়ে যায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ ৷

মানসিকভাবে নির্যাতিতা ছাত্রীর বক্তব্য, "ওই কর্মী আমাকে মূলত রাতে হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন মেসেজ পাঠাতেন ৷ নানা ধরনের প্রলোভন দিতেন ৷ অশ্লীল ইঙ্গিতও করতেন ৷ আমি জানতে চেয়েছিলাম, তিনি কীভাবে আমার ফোন নম্বর পেলেন ৷ তিনি কোনও উত্তর দেননি ৷ এরপরেই বিষয়টি আমি কলেজের অধ্যক্ষকে জানাই ৷ আমি চাই, কলেজ কর্তৃপক্ষ এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ করুক ৷"

কলেজের গ্রিভান্স সেল ও মহিলা সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা বলছেন, ওই কর্মীর বিরুদ্ধে এর আগেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল ৷ একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ কোনও পদক্ষেপই করেননি ৷ তাঁরা এবারের ঘটনাটিও জেনেছেন ৷ এনিয়ে সরব হয়েছেন ৷ প্রতিবাদ করেছেন ৷ অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন ৷ তাঁরা চান, ওই কর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ৷ একই দাবি কলেজের পড়ুয়াদেরও ৷ তাঁদের অভিযোগ, এই কলেজে পড়ুয়াদের কোনও নিরাপত্তা নেই ৷ ওই অশিক্ষক কর্মীর ঘটনাতেই তা প্রমাণিত ৷ তাঁরা চান, কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করুক ৷

বিষয়টি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সত্যরঞ্জন ঘোষ বলেন, “ওই ছাত্রী প্রথমে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন ৷ পরে অভিযোগপত্র দায়ের হয়েছে ৷ আমরাও সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছি ৷ অভিযুক্তকে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ পরে ওই কর্মী লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ৷ আমরা বিষয়টি নিয়ে গভর্নিং বডিতে আলোচনা করব ৷ গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে ৷”

Last Updated : Sep 5, 2024, 7:55 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details