মালদা, 17 মে: সামান্য বৃষ্টি, ধীরগতির হাওয়া, সঙ্গে মুহুর্মুহু বজ্রপাত ৷ এতেই বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাণ গিয়েছে 12 জনের ৷ মালদার এই ঘটনা সাড়া ফেলেছে গোটা রাজ্যে ৷ কেন বজ্রপাতের সংখ্যা এত বাড়ছে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা ৷ এদিকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করিয়েছে প্রশাসন ৷ গতকাল রাতে সাতটি দেহ ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন পরিবারের লোকজন ৷ বাকি দেহগুলি শুক্রবার নিজেদের এলাকায় যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ ৷
বেশ কিছুদিন তীব্র দাবদাহের পর গতকাল বিকেলে আকাশ কালো করে মেঘ জমে ৷ খানিকবাদেই বাতাস বইতে শুরু করে ৷ তবে বাতাসের তীব্রতা তেমন কিছু ছিল না ৷ তখন থেকেই বজ্রপাত শুরু হয় ৷ খানিকবাদে শুরু হয় হালকা বৃষ্টি ৷ তখন বজ্রপাতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে ৷ একসময় মুহুর্মহু ৷ বৃহস্পতিবার প্রতি মিনিটে প্রায় 90টি বাজ পড়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে ৷
আবহবিদদের মতে, সাধারণত কিউমুলাস মেঘে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে ৷ গত কয়েকবছরে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশেই এই বজ্রগর্ভ মেঘের পরিমাণ বেড়েছে ৷ এর কারণ মূলত দুটি ৷ প্রথমত, বাতাসে বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি এবং দ্বিতীয়ত, তাপমাত্রার বৃদ্ধি ৷ এর মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে দূষণ ৷ দূষণের মাত্রা যত বাড়বে, গড় তাপমাত্রাও তত বাড়বে ৷ এতেই কিউমুলাস মেঘ সৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ছে ৷ এই সময় বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বাংলায় ঢুকছে ৷ কিন্তু সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থাকছে প্রবল গরম ৷ এই দুইয়ের যোগফলে তৈরি হচ্ছে বজ্রগর্ভ মেঘ ৷ বিকেলের দিকে সেটাই বজ্রবৃষ্টির আকার নিচ্ছে ৷