কেশপুর, 21 সেপ্টেম্বর: বন্যা প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে ত্রাণ বিতরণ ও মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা । শনিবার প্রায় 30 জন ডাক্তার প্লাবিত এলাকায় রোগীদের একেক করে চিকিৎসা করেন । এরই সঙ্গে যাবতীয় ওষুধ তুলে দেওয়া হয় এই বানভাসী মানুষদের মধ্যে ।
একদিকে আরজি করের ঘটনায় এখনও উত্তাল রাজ্য, আর তারই মধ্যে টানা বর্ষণ ও বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় বানভাসী পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা । বিশেষ করে ঘাটাল, দাসপুর, কেশপুর, ডেবরা, পাঁশকুড়া, পিংলা-সহ খড়গপুর গ্রামীণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে । এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সকল সংস্থা সংগঠন ক্লাব সেই সঙ্গে প্রশাসন থেকে বারবার সাহায্য করা হচ্ছে । শুকনো খাবার, সেই সঙ্গে ত্রিপল, ওষুধ ও যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন প্রশাসন-সহ অনেকেই ৷
কেশপুর বানভাসী মানুষদের পাশে জুনিয়র ডাক্তাররা (ইটিভি ভারত) এবার এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে পাশে এসে দাঁড়াল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা । এ দিন কেশপুরের টাবাগেড়িয়া এলাকাতে এই শিবিরের আয়োজন করা হয় । দু’টি মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রায় 30 জন জুনিয়র চিকিৎসক এই ক্যাম্পে হাজির হন । তাঁরা এ দিন এই বানভাসী মানুষদের যেমন চিকিৎসা করেন, সেই সঙ্গে ওষুধও দেন । এরই পাশাপাশি এ দিন বানভাসী মানুষদের শুকনো খাবারও তুলে দেওয়া হয় । তাদের এই ক্যাম্পের ফলে উপকৃত হয় কয়েকশো মানুষ ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য শিবির৷ (নিজস্ব চিত্র) এ দিন শিবিরে উপস্থিত এক চিকিৎসক স্বাগতা জানান, তাঁদের আন্দোলন চলার সময় প্রচুর মানুষের সাহায্য পেয়েছেন ৷ অনেক খাবার পেয়েছেন ৷ সেই খাবারগুলিই এখন তাঁরা বানভাসী মানুষগুলির হাতে তুলে দিচ্ছেন ৷ পাশাপাশি চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যাও জেনে দেখছেন ৷ এই ধরনের আরও শিবির আগামিদিনে করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য শিবির৷ (নিজস্ব চিত্র) তাঁদের শিবিরে বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন অনেকে৷ তাঁরা এই পরিষেবায় খুশি ৷