পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব! জেলা সম্মেলন থেকে নাম প্রত্যাহার করলেন সুজনের স্ত্রী-সহ 17 জন - NEW OLD CONFLICT IN CPM

তালিকায় রয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী, চন্দনা ঘোষ দস্তিদার, সুব্রত দাশগুপ্ত, রাজ্য কমিটির সদস্য রাহুল ঘোষ ৷

NEW OLD CONFLICT IN CPM
সিপিএমের মরা গাঙেও নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব (প্রতীকী চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 22, 2024, 5:51 PM IST

কলকাতা, 22 ডিসেম্বর:তৃণমূলের পর এবার সিপিএমেও নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। দলের দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা কমিটির সম্মেলনে তা স্পষ্ট হল। বিদায়ী জেলা সম্পাদক রতন বাগচী জেলা কমিটিতে সদস্য হিসেবে 65 জনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। তার মধ্যে 17 জন নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। তালিকায় রয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী, চন্দনা ঘোষ দস্তিদার, সুব্রত দাশগুপ্ত থেকে শুরু করে রাহুল ঘোষের মতো নেতারা ৷ এমনকী ডিওআইএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির কোষাধ্যক্ষ অপূর্ব প্রামাণিকও নাম প্রত্যাহার করেছেন।

শেষ পর্যন্ত নতুন 17 জনের নাম তালিকাভুক্ত করেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিপিএম সূত্রে খবর, নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মূলে আছে শমীক লাহিড়ী ও সুজন চক্রবর্তী লবির দ্বন্দ্ব। যদিও সে কথা মানতে নারাজ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতার। তাঁদের দাবি, সিপিএম একটি গণতান্ত্রিক দল। ডিসিএম (জেলা কমিটির সদস্য) থেকে যে কেউ নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতেই পারেন। অন্যদিকে, শমিক লাহিড়ীকে ফোন করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ৷

সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে বিদায়ী জেলা কমিটির অন্তর্বর্তী সম্পাদক রতন বাগচী নতুন কমিটি নিয়ে প্যানেলেক প্রস্তাব করেন। সেই প্রস্তাবে দেখা যায় বেশ কয়েকজন তরুণ নেতার নাম নেই। যাদের নাম বাদ পড়েছে তাদের মধ্যে নৈতিক অধঃপতনের অভিযোগ রয়েছে বলে জেলা কমিটি যুক্তি দেয়। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, যদি নৈতিক অধঃপতনের অভিযোগ থেকেই থাকে তার জন্য দলীয় রীতিনীতি মেনে তদন্ত বা খতিয়ে দেখার বিষয়টি রয়েছে।

সে সমস্ত না করে কেন আচমকা এভাবে নাম বাদ দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু, কেউই এসব বিষয়ে প্রকাশ্যে বলতে চাইছেন না । দলীয় অভ্যন্তরীণ বিষয় দাবি করে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে সাম্য গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে, তিনি স্পষ্ট বলেন "বিষয়টি পার্টির নিজের। এ বিষয়ে যা বলার তা জেলা সম্পাদক রতন বাগচীই বলবেন।" কিন্তু রতন বাগচীকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

ABOUT THE AUTHOR

...view details