বর্ধমান, 14 সেপ্টেম্বর: থ্রেট কালচার অব্যাহত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে । অভিযোগ, অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন বিক্ষোভকারী চিকিৎসক পড়ুয়াদের হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে । তাদের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ফোন করে মুখ খুলতে মানা করা হচ্ছে ।
থ্রেট কালচারের পর হুমকি নিয়ে চিকিৎসক পড়ুয়া ও প্রিন্সিপালের বক্তব্য (ইটিভি ভারত) বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে-সহ 21 জন চিকিৎসকের উপর কলেজ ক্যাম্পাসে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । ফলে এতদিন যারা ভয়ে মুখ খুলছিল না তারাও সাহস করে সামনে আসছেন । তাতেই যাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলা হতে পারে বুঝতে পেরে, তারা অপরিচিত নম্বর কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কল করে হুমকি দেওয়া শুরু করেছে । যাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তারা বেশিরভাগই ছাত্রী । তবে ছাত্রদেরও দেওয়া হচ্ছে হুমকি ।
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের ভয় দেখিয়ে বলা হচ্ছে মুখ খুললে তাদের বিভিন্ন দিকে বিপদ বাড়তে পারে । পার্মানেন্ট রেজিস্ট্রেশন নম্বর বাতিল হয়ে যেতে পারে কিংবা তাদের উপরে হামলার ঘটনাও ঘটতে পারে । ফলে যাদের যা অভিযোগ আছে সেই অভিযোগ লিখিতভাবে তারা গ্রিভেন্স সেলে জমা দিচ্ছেন । কিন্তু অভিযোগকারীদের নাম যাতে সামনে না আসে সেই বিষয়ে তারা লক্ষ্য রাখছেন ।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, যারা অভিযোগ করতে পারে সেটা তারা জানে । আর ইতিমধ্যেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে 21 জন চিকিৎসককে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে । তাই তারা ঢুকতে পারছে না । কিন্তু তারা ভয় পেয়ে আছে । সেই কারণেই থ্রেট করা হচ্ছে ।
এই বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসক শুভব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তারা জানে কারা অভিযোগ করতে পারে । এর ফলে যারা অভিযোগ করছে বা করতে পারে তাদেরকে অপরিচিত হোয়াটস অ্যাপ নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে । তাদেরকে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে । এটা তো পরিষ্কার যে যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের পিছনে কোনও বড় হাত আছে । না হলে তারা এত সাহস পায় কীভাবে ? এটা তদন্তে মনে হয় বের হবে ।
সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ছাত্র অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, "যাদের ফোন করে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ভয় দেখানো হচ্ছে তাদের একত্র করে কী ধরনের অভিযোগ আছে তা লিখতে বলা হয়েছে । যারা অভিযোগ জানাবে তাদের নাম সম্পূর্ণ ভাবে যাবে গোপন থাকে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে । সকলেই গ্রিভেন্স সেলে অভিযোগ জানাবে । ফলে আরও নতুন নাম বেরিয়ে আসতে পারে । আমরা চাইছি যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের শাস্তি দেওয়া হোক ।"
বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "থ্রেট কালচারকে কোনওভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না । পড়ুয়াদের অভিযোগ পেয়েছি । একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । ওই কমিটি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে ।"