কলকাতা, 17 জুলাই: দেশজুড়ে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিস্তর। সম্প্রতি কাঞ্জনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে রেলের একাধিক গাফিলতি সামনে এসেছে কমিশনের রিপোর্টে। এরই মাঝে দেশের অন্যতম বিলাসবহুল ট্রেন রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে নিখোঁজ হয়ে গেলেন দমদম ক্যান্টনমেন্টের বছর চল্লিশের এক যাত্রী।
নিখোঁজ ওই ব্যক্তির পরিবারের তরফে রেলের নিরাপত্তা নিয়েই কার্যত প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দমদম ক্যান্টমেন্টের বাসিন্দা 40 বছরের মৌসম ঘোষ গত জুন মাসের 27 তারিখ রাজধানীতে চেপে দিল্লি থেকে শিয়ালদা ফিরছিল। 28 তারিখ সকালে তাঁর ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি বাড়ি ফেরেননি। ওইদিন শিয়ালদা স্টেশনে তাঁকে আনতে গিয়েছিলেন তাঁরই এক বন্ধু। দাবি, সেই বন্ধু মৌসমকে স্টেশনে খুঁজে পাননি। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও ফোন বেজে যায় ৷ কেউ ফোন ধরেনি ৷ এরপর এক আরপিএফ আধিকারিক ফোন ধরে জানান, মৌসমের ফোন পাওয়া গিয়েছে ট্রেনে।
এরপর মৌসমের বন্ধু তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ মৌসমের বাড়ির লোক তড়িঘড়ি শিয়ালদা স্টেশনে পৌছয়। সেখানে গিয়ে তাদের চক্ষু চড়কগাছ। মৌসমের ব্যাগপত্তর ও মোবাইল থাকলেও মৌসমের কোনও খোঁজ নেই। এরপরে পরিবার শিয়ালদা জিআরপি'র দারস্থ হলেও কোনও নিখোঁজ ডায়েরি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে দমদম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় মৌসমের পরিবারের তরফে। কিন্তু দিন 15 কেটে গেলেও ওই ব্যক্তির কোনও খোঁজ না-পাওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত গোটা পরিবার।
পরিবারের দাবি, রাজধানীর মত একটি ট্রেন যেখানে প্রতিটা কামরায় সিসিটিভি থাকে সেখান থেকে কী করে একজন নিখোঁজ হয়ে গেল এখনও তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেল না। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। মৌসমের মাসির দাবি, তাঁদের সন্তান কোথায় রয়েছে খোঁজ যেন তাঁরা পান। কান্নায় ভেঙে পড়তে পড়তে এমনটাই জানালেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, তারা সমস্ত জায়গায় নিখোঁজের তথ্য পাঠিয়েছেন। রেলের থেকে তথ্য নেওয়ার জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। রেলের তরফে কোনও সদুত্তর এখনও আসেনি।