কলকাতা, 27 মে: লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধির কারণে সরাসরি দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু রাজ্য প্রশাসন দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে, সোশাল মিডিয়ায় এমন বার্তাই দিয়েছেন তিনি ।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, "পশ্চিমবঙ্গ নদীমাতৃক রাজ্য, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে । প্রতি বছরই তাই আমাদের নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয় । এবারও সাইক্লোন 'রেমালে'র প্রভাবে আমাদের রাজ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হল ও হচ্ছে । কিন্তু সবার উপরে মানুষের জীবন । সৌভাগ্যক্রমে এবং অবশ্যই রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় এবার জীবনহানি তুলনামূলকভাবে অনেক কম । নিহতদের পরিবারকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই ৷ তাঁদের নিকটজনের হাতে অবিলম্বে আর্থিক সহায়তা পৌঁছবে । ফসলের ও বাড়িঘরের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণের বন্টন আইন-মোতাবেক প্রশাসন এখনই দেখে নেবে এবং নির্বাচনের আচরণবিধি উঠে গেলে আমরা এই সব বিষয় আরও গুরুত্ব দিয়ে পুরোটা বিবেচনা করব ।"
মুখ্যসচিবকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর, সরকারি সাহায্যে রাজনীতির রং না-দেখার নির্দেশ
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও লেখেন, "নির্বাচনী বন্দোবস্তের ব্যস্ততা সত্ত্বেও সর্বস্তরে আমাদের প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় এবার প্রস্তুত ছিল । মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে আমার রাজ্যের সম্পূর্ণ সচিবালয়, জেলা প্রশাসন থেকে ব্লক প্রশাসন – দুর্যোগের মোকাবিলায় সকলে সংহতভাবে সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে । দু' লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় 1 হাজার 400 শিবিরে সরানোর কৃতিত্ব আমাদের পুরসভা – পঞ্চায়েতগুলির । এজন্য আমি রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই । আমি বিশ্বাস রাখি, সকলের সহযোগিতায় এই ঝড়ও আমরা কাটিয়ে উঠব ।"
এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে বড়বাজারে নির্বাচনী সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সভাতেও খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গ । সেখানেই তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, গতকাল সাধারণ মানুষের দুর্যোগে দুরবস্থার কথা ভেবে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন তিনি । তাঁর কথায়, "আমি জানি, এই দুর্যোগে আপনারা চিন্তিত । আমরাও চিন্তিত । কিন্তু ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না । পরিস্থিতির মোকাবিলায় যা যা করণীয়, আমরা সবটাই করব ।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বৃষ্টির মরশুম, বৃষ্টি প্রচুর হয়েছে । রাতভর আমি নজরদারি করেছি । রিলিফ শেল্টারে অনেকে আছে । যাঁদের কাঁচা ঘর ভেঙে গিয়েছে, আবার অনেকের পাকা ঘর ভেঙেছে । অনেকের দোকান নষ্ট হয়েছে । আমি শুধু এইটুকু বলব, যাঁদের সব চলে গেল, যাঁরা সব হারিয়েছেন, আমি তাঁদের কথা দিচ্ছি, প্রশাসন যা যা উদ্যোগ নেওয়ার নেবে । পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে আমি নিজে এরিয়া সার্ভে করব । আপনাদের সব সহযোগিতা করব । আপনাদের কোনও চিন্তা নেই ।"
নেমেছে পার্কস্ট্রিট স্টেশনের জমা জল, প্রায় 5 ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হল মেট্রো পরিষেবা