কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: কলকাতা শহরের কোনও এলাকা থেকে নয়, একেবারে খোদ কলকাতা পুরনিগমে মেয়রের ঘরের সামনে থেকেই এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ । ধৃত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় নিজেকে বাংলাদেশি বলে স্বীকার করে নেয় রফিকুল ৷
সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরের সামনে ঘোরাফেরা করার সময় রফিকুল ইসলাম নামে এক সন্দেহভাজনে প্রথমে আটক করে পুলিশ ৷ তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় নিউমার্কেট থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ধৃত প্রথমে নিজেকে চাপড়ার বাসিন্দা বলেও পুলিশি জেরায় স্বীকার করে নেয় যে, সে বাংলাদেশি ৷ কলকাতা কর্পোরেশনে এসেছিল পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজে । তাকে পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছিল বলেও দাবি করে রফিকুল।
কলকাতা কর্পোরেশনের মূল ভবন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকে ৷ সেই কড়া সুরক্ষার ফাঁক গলে খোদ কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরের দরজার আশপাশে ঘুরতে দেখা যায় রফিকুল নামে ওই ব্যক্তিকে। তার হাতে কিছু নথিও ছিল। পিঠে ব্যাগ, মাথায় টুপি ছিল বলে জানা গিয়েছে। মেয়রের ঘরের সামনে বেশ কিছু সময় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে সেখানে মোতায়েন সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীদের সন্দেহ হয়। এরপরই ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেন তাঁরা।
কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের কাছ থেকে পাসপোর্ট, আধার কার্ড, বার্থ সার্টিফিকেট-সহ বেশ কিছু ডকুমেন্ট পাওয়া গিয়েছে। কী কারণে সে ঘুরছে জিজ্ঞাসা করা হলে, উত্তরে ওই যুবক প্রথমে দাবি করে, এমনি ঘুরতে এসেছে সে। পরে জানায়, ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করতে এসেছে। এর পরেই সন্দেহ হয় পুলিশের ৷ এরপরই ওই ব্যক্তিকে প্রথমে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশে আশান্তির আবহে সারা দেশেই ধরপাকড় চলছে অনুপ্রবেশকারীদের। ধৃতের কাছে থেকেই পাওয়া গিয়েছে জাল নথি। এই নথিগুলো জাল কি না, সেই বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপশি তার কাছে পাওয়া পাসপোর্ট ও আধারে পদবি অমিল। একটিতে রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস, আরও এটিতে রফিকুল বিশ্বাস। আরেকটিতে শুধুই রফিকুল ইসলাম। ধৃতকে প্রশ্ন করা হলে সে বলে, "আমি ডকুমেন্ট চেক করতে এসেছি।" কিন্তু চাপড়ার বাসিন্দা হয়েও কলকাতা কর্পোরেশনে কেন এসেছে, জিজ্ঞাসা করায় তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সে।