মালদা, 6 সেপ্টেম্বর:যাত্রী নিরাপত্তায় নয়া পদক্ষেপ পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের ৷ চলন্ত ট্রেনে নজরদারি চালাতে চালু করা হল হেলমেট ক্যামেরা মনিটরিং সিস্টেম ৷ শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার মণীশকুমার গুপ্তা ৷ শুধু তাই নয়, রেল স্টেশন ও স্টেশন চত্বরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেও কঠোর পদক্ষেপ করেছে রেলের মালদা ডিভিশন কর্তৃপক্ষ ৷ মাত্র দেড় মাসে এই খাতে জরিমানা বাবদ আদায় করা হয়েছে 22 লাখ 35 হাজার 450 টাকা ৷
মালদায় চালু হেলমেট ক্যামেরা মনিটরিং সিস্টেম (নিজস্ব ভিডিয়ো) রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, যাত্রী নিরাপত্তার দিকে নজর রেখে এখন থেকে বিশেষ ক্যামেরাযুক্ত হেলমেট ব্যবহার করা শুরু করেছেন কর্মীরা ৷ যাত্রী বা মালবাহী ট্রেনের ইন অ্যান্ড আউট রোলিং পরীক্ষার সময় এই বিশেষ হেলমেট ব্যবহার করছেন তাঁরা ৷ অর্থাৎ ট্রেন যখন ধীরগতিতে স্টেশনে ঢোকে কিংবা বেরিয়ে যায়, তখন কর্মীরা ট্রেনের চাকা, বিয়ারিং-সহ অন্যান্য অংশগুলি দেখতে পাচ্ছেন ৷ কোনও ত্রুটি নজরে এলে তা সঙ্গে সঙ্গে হেলমেট পরিহিত কর্মী-সহ সব রেলকর্মীরাই দেখতে পাবেন ৷ এই ডিভিশনের মালদা ও জামালপুর স্টেশনেই এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে ৷ প্রতিটি স্টেশনে এমন আটটি করে ক্যামেরা হেলমেট দেওয়া হয়েছে ৷ আগামীতে ডিভিশনের প্রতিটি স্টেশনেই এই ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
রেলের মালদা ডিভিশনাল ম্যানেজার মণীশকুমার গুপ্তা জানাচ্ছেন, "যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে মালদা রেলওয়ে ডিভিশন এই হেলমেট মনিটরিং সিস্টেম চালু করেছে ৷ যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের রোলিং ইন ও আউটের সময় রেলকর্মীরা এই হেলমেট মাথায় পরে ট্রেনের নীচের অংশে নজর রাখবেন ৷ হেলমেটে লাগানো শক্তিশালী ক্যামেরায় সেই ছবি রেকর্ডিংও হয়ে যাবে ৷ এতে ট্রেনের কোনও কোচ কিংবা ওয়াগানে কোনও ত্রুটি ধরা পড়লে তা সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করা যাবে ৷ ত্রুটি পরে নজরে এলেও পদক্ষেপ করা যাবে ৷ এই ক্যামেরা দিয়ে লাইভ স্ট্রিমিংও করা যায় ৷ ফলে রেলকর্মী ও কন্ট্রোল স্টাফ একইসঙ্গে নজরদারি চালাতে পারবেন ৷"
এদিকে, মালদা রেল স্টেশন ও স্টেশন চত্বর সাফসুতরো রাখতে আগেই পদক্ষেপ করেছে আরপিএফ ৷ রেলের সীমানার মধ্যে ধূমপান, থুতু কিংবা আবর্জনা ফেলার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে ৷ গত 24 জুলাই মালদা স্টেশনে এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা হয়েছে ৷ মাত্র 42 দিনে জরিমানা বাবদ যাত্রীদের কাছ থেকে 22 লাখ 35 হাজার 450 টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে 5 হাজার 569 জন ধূমপায়ীর কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে 11 লাখ 13 হাজার 750 টাকা এবং আবর্জনা ফেলার জন্য 7 হাজার 898 জনের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে 11 লাখ 21 হাজার 700 টাকা ৷ রেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও সংরক্ষণের কাজে এই টাকা ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিআরএম ৷