মালদা, 28 এপ্রিল: ইস বার পগারপার। বিজেপি দুশো আসনই পাবে না, চারশো আসন পাওয়ার কথা আসছে কী করে! মালদার সভা থেকে এই ভাষাতেই গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সভায় আসা ভিড়কে মমতার প্রশ্ন, আপনারা কি চান আমি সিপিএমের কাছে আত্মসমপর্ণ করি?
মমতার কথায়, "আমি যা বলি হিসেব করে বলি। অনেকদিন আগে থেকেই বলছি বিজেপি 200-র বেশি আসন পাবে না। এখন কেউ কেউ বলছে,মনে হচ্ছে বিজেপি এবার পারবে না। আমি বলছি, ইসবার পগারপার। দুশো আসনই পাবে না । চারশো আসন পাওয়ার কথা আসছে কী করে!"মালদার সভা থেকে আরও একাধিক প্রসঙ্গে আক্রমণ শানান মমতা। এই জেলায় তাদের সাংগঠনিক শক্তির কথা মাথায় রেখে কংগ্রেসকে একাধিকবার আক্রমণ করেন মমতা। তুলে ধরেন সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের প্রসঙ্গও। ভাষণের একটি অংশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলায় শুধু তৃণমূল লড়াই করছে। আপনারা কি চান আমি সিপিএমের কাছে আত্মসমর্পণ করি?"
এখানেই ইন্ডিয়া জোট নিয়েও মন্তব্য করেন মমতা। তিনি জানান, বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কোনও দলের জোট নেই। এখানে কংগ্রেস কোনও আসন পাবে না । দেশের অন্য জায়গায় আসন পাবে। সেখানে কংগ্রেসকে সাহায্য করছে তৃণমূলও। ইন্ডিয়া জোট তিনি তৈরি করেছেন। তৃণমূলই নেতৃত্ব দিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে জেতাবে। তাই কোনও ধরনের ভোট কাটাকাটির রাজনীতিতে যাওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর আশঙ্কা, ভোট কাটাকাটির জেরে বিজেপি জিতলে বাংলার ক্ষতি হবে। তাঁর দলের সাংসদরা বিজেপির বিরুদ্ধে কী ধরনের লড়াই করছেন তা বোঝাতে মহুয়া মৈত্রের উদাহারণ তুলে ধরেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, মহুয়া বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন বলেই তাঁর সাংসদ পদ চলে গিয়েছে।
এরপর তাঁর দল এবং রাজ্য সরকার যে সংখ্যালঘুদের কথা ভাবে সেকথাও তুলে ধরেন রাজ্যের প্রশসানিক প্রধান। তিনি জানান, রাজ্যসভায় তাঁদের দল থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চারজনকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে মালদার প্রবাদপ্রতিম কংগ্রেসি নেতা বরকত গনি খান চৌধুরির পরিবারের সদস্য মৌসম বেনজির নূরও আছেন। পাশপাশি দেশের সংসদে মতুয়া থেকে শুরু করে আদিবাসি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতেও তিনি যে সচেষ্ট তা বুঝিয়ে দেন মমতা ।
আরও পড়ুন:
- ধস কবলিতরা বিপদে পড়লে ইসিএলকে ছাড়ব না, কেন্দ্রের পুনর্বাসন নিয়ে হুঁশিয়ারি মমতার
- শত্রুঘ্ন-অমিতাভের ভারতরত্ন পাওয়া উচিত, দাবি মমতার