মালদা, 7 মে: তিনি মুদিখানার দোকান চালান ৷ বাড়ির সামনের অংশেই তাঁর দোকান ৷ দোকানদারি সেরে দুপুরে ভোট দিতে গিয়েছিলেন পাড়ার বুথে ৷ কিন্তু সেখানে গিয়ে যা শুনলেন, তাতে তাঁর চোখ কপালে ওঠে ! তিনি নাকি এক সরকারি কর্মী ৷ পোস্টাল ব্যালটে ইতিমধ্যে ভোট দেওয়া হয়েছে গিয়েছে তাঁর ৷ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানান ৷ প্রিসাইডিং অফিসারও জানিয়ে দেন, কোনওমতেই আর ভোট দিতে পারবেন না তিনি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের ইংরেজবাজার শহরের বাবলাবোনা প্রাইমারি স্কুলে ৷
ওই মুদি ব্যবসায়ী অসীম সাহা বলেন, "আমার পার্ট নম্বর 84, সিরিয়াল নম্বর 826 ৷ কাজকর্ম সেরে ভোট দিতে এসেছিলাম ৷ এসে শুনি, আমার ভোট নাকি হয়ে গিয়েছে ৷ প্রিসাইডিং অফিসার আমাকে ভোট দিতে দেননি ৷ তিনি জানিয়েছেন, আমি নাকি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছি ৷ কিন্তু আমি তো সরকারি কর্মী নই ৷ আমার দোকান আছে ৷ আমি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেব কীভাবে?"
বুথের প্রিসাইডিং অফিসার সঞ্জয়কুমার মণ্ডল বলেন, "ভোটার লিস্টে ওই ব্যক্তির নামে পোস্টাল ব্যালট লেখা রয়েছে ৷ সেটা লাল কালিতে মার্কিং করে দেওয়া রয়েছে ৷ আমাদের কাছে যদি এই তালিকা আসে, তবে আমরা কী করব! আমাদের কিছু করার নেই ৷"
এ বিষয়ে ইংরেজবাজার পৌরসভার 21 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুতপা মুখোপাধ্যায় জানান, এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ওই বুথে গিয়েছিলাম ৷ প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথাও বলি ৷ কিন্তু তিনি কমিশনের নথি দেখিয়ে জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই ৷ একজন সরকারি কর্মী হিসাবে তাঁর বাধ্যবাধকতা বুঝি ৷ তাই তাঁকে কিছু বলিনি ৷ গোটা বিষয়টি আমি জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসকের নজরে নিয়ে এসেছি ৷ এখন দেখা যাক, তিনি কোনও ব্যবস্থা নেন কি না ৷