আলিপুরদুয়ার, 13 নভেম্বর: এক দশক ৷ অর্থাৎ দশ বছর ৷ এই সময়ের মধ্যে চলে গিয়েছে বেশ কয়েকটা ভোট ৷ প্রতিবারই আশায়-আশায় ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন চা-শ্রমিকরা, যদি ফের খুলে যায় বন্ধ হয়ে যাওয়া লঙ্কাপাড়া চা-বাগান ৷
ভোট এসেছে ৷ গিয়েছে ৷ লঙ্কাপাড়া চা-বাগানের গেটে ঝোলানো তালায় আরও মরচে ধরেছে ৷ কিন্তু সেই তালা খুলে নতুন করে কাজ শুরু করতে পারেননি চা-শ্রমিকরা ৷ যে আশার আলো দেখার জন্য ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন লঙ্কাপাড়ার সেই শ্রমিকরা, তা পূরণ হওয়ার বদলে ঢেকে গিয়েছে আশঙ্কার কালো মেঘে ৷
বাগান খোলার আশায় ফের একবার ভোটের লাইনে লঙ্কাপাড়ার শ্রমিকরা (ইটিভি ভারত) কিন্তু, কথায় বলে, আশায় বাঁচে চাষা ৷ তাই এবারও বন্ধ চা-বাগান খোলার আশায় ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন লঙ্কাপাড়ার শ্রমিকরা ৷ মাদারিহাট বিধানসভা আসনের সাতটি বুথ এই লঙ্কাপাড়া চা-বাগানের মধ্যে রয়েছে ৷ বুধবার সকাল থেকে বুথের বাইরে শ্রমিকদের ভোট দেওয়ার লাইনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে ৷
লঙ্কাপাড়া চা-বাগানের রবিলাল লামা বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ চা বাগান । অনেকেই বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছেন । আমরা চাই বাগান খুলুক । উন্নয়নের জন্যই সাধারণ মানুষ ভোট দিচ্ছে । অনেকেই বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন । অনেকেই বাড়িতে উৎসবের সময় এসেছিলেন । তাঁরা থেকে গিয়েছেন ভোটের জন্য । ভোটের পর আবার চলে যাবেন ।’’
উপ-নির্বাচনে যিনি জয়ী হবেন, তিনি কি লঙ্কাপাড়ার আশাপূরণ করবেন ? সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷ তাৎপর্যপূর্ণ হল- 2016 থেকে 2024 পর্যন্ত মাদারিহাটের যিনি বিধায়ক ছিলেন, সেই মনোজ টিগ্গা এখন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ ৷ আর এই আলিপুরদুয়ারে লঙ্কাপাড়া ছাড়াও আরও তিনটি দোলমোর, রামঝোরা, ঢেকলাপাড়া চা-বাগান বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে (আলিপুরদুয়ারে মোট চা-বাগান 24টি) ৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ওই চা-বাগানগুলি কি তিনি খোলার ব্যবস্থা করতে পারবেন ?