কলকাতা, 19 অক্টোবর: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে ব্যবহার হওয়া অর্থের উৎস কী ? এবার সেই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে পোস্ট করেন তিনি ৷ কুণালের বক্তব্য, জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট একটি ট্রাস্ট হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে ৷ আর সেই ট্রাস্টের নামে একটি বেসরকারি ব্য়াংকের হাইকোর্ট শাখায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৷ আর সেখানে সোমবার পর্যন্ত ব্যালান্স ছিল 1 কোটি 70 লক্ষ টাকা ৷ তাঁর প্রশ্ন, এত টাকা দিচ্ছে কারা ?
কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছেন, ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে আরজি কর কেবি হস্টেলের রুম নম্বর 32 ৷ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে সরকারি ঠিকানা একটি এনজিও-র জন্য ব্যবহার করা হতে পারে ? আর সেই ঠিকানায় কারাই বা অর্থ জোগাচ্ছে ?
এ দিন এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লিখেছেন-
1) ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট এনজিও হিসেবে নথিভুক্তি করিয়েছে ৷
2) এইচডিএফসি-র হাইকোর্ট শাখায় অ্যাকাউন্ট ৷
3) 16/10/24-এ ব্যালেন্স 1 কোটি 70 লক্ষ টাকা ৷
4) সংস্থার ইউনিক আইডি WB/2024/0452681
5) নথিভুক্ত উদ্দেশ্য: বিনামূল্যে রক্তদান, স্বাস্থ্য, চক্ষুশিবির ৷
6) ঠিকানা: আরজি কর, কেবি হস্টেল, রুম 32
7) ডিড: কিঞ্জল নন্দর নামে ৷
8) অ্যাকাউন্ট হোল্ডার: অনিকেত মাহাতো, রাজদীপ সাউ এবং অর্ণব মুখোপাধ্যায় ৷
9) AC: ××××××××××3251
প্রশ্ন: টাকা দিচ্ছে কারা ? কারা চায় আন্দোলনের নামে সরকারি হাসপাতাল অস্থির থাকুক ? তাতে কাদের লাভ ? সরকারি ঠিকানায়, সরকারের অনুমতি ছাড়া নথিভুক্ত এনজিও থাকে কী করে ?
এটা ছাড়াও আরও অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে বলে খবর ৷ সেগুলিও খতিয়ে দেখা দরকার ৷ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দরকার ৷ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে তদন্তের আওতায় আনা প্রয়োজন ৷"
এ দিন নন্দীগ্রাম যাওয়ার আগে কুণাল ঘোষ বলেন, "জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট একটি এনজিও গঠন করেছে ৷ যার ডিড হল কিঞ্জল নন্দের নামে ৷ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার অনিকেত মাহাতো, রাজদীপ সাউ এবং অর্ণব মুখোপাধ্যায় ৷ গত দু’দিন আগে পর্যন্ত এই অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স হল 1 কোটি 70 লাখ টাকা ৷ বিনামূল্যে রক্তদান এবং স্বাস্থ্য চক্ষু শিবিরের উদ্দেশ্যে এই এনজিও-কে সামনে রেখে এই টাকা কারা দিচ্ছে ?