নয়াদিল্লি, 17 জুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার দায় মালগাড়ির চালকের বলে দাবি করেছিল রেল বোর্ড ৷ রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন জয়া বর্মা সিনহা বলেছিলেন যে, সিগন্যাল মানেননি মালগাড়ির চালক ৷ তিনি সোজা এসে ধাক্কা মারেন আগরতলা থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ৷ তবে নথি বলছে, কোনও দোষ ছিল না মালগাড়ির চালকের ৷ সিগন্যাল খারাপ থাকায়, লাল আলো থাকা সত্ত্বেও সিগন্যাল পেরনোর লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে ৷ কাজেই মৃত মালগাড়ির চালকের ঘাড়ে মিথ্যে দোষ চাপানোর অভিযোগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে লোকো রানিংমেন অর্গানাইজেশন ৷
সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি সঞ্জয় পান্ধি বলেন, "এখন, নথি থেকে এটি পরিষ্কার যে মালগাড়ির লোকো পাইলটকে লাল সংকেত অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কারণ সিগন্যালগুলি ত্রুটিপূর্ণ ছিল ৷ এটি রেল প্রশাসনের ব্যর্থতা, চালকের দোষ নয় ৷ তদন্ত চলাকালীন দুর্ঘটনায় মৃত লোকো পাইলটকে দায়ী করে রেলের ঘোষণা অত্যন্ত আপত্তিকর ৷"
উল্লেখ্য, রেলের একটি সূত্র জানিয়েছে, টিএ 912 নামে একটি লিখিত বিবৃতি জারি করেছিলেন রানিপত্রের স্টেশন মাস্টার ৷ সেই বিবৃতিতে মালগাড়ির চালককে সমস্ত লাল সংকেত পেরনোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই চিঠিতে বলা হয়, "স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল কাজ করছে না ৷ আপনি আরএনআই (রানিপত্র রেলওয়ে স্টেশন) এবং সিএটি (ছত্তার হাট জংশন) এর মধ্যে সমস্ত স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পেরনোর জন্য অনুমোদিত ৷" প্রসঙ্গত, এই দুটি স্টেশনের মধ্যে নয়টি সংকেত রয়েছে ৷