কলকাতা, 13 অগস্ট: প্রয়োজনে আবারও কর্মবিরতি করবেন জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যরা ৷ আরজি কর-কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের মামলায় সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পাওয়ার পর, এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা ৷ সঙ্গে 90 দিন পরেও সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিতে না-পারায় সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷
শিয়ালদা আদালতে বৃহস্পতিবার আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল ৷ এই তদন্তের 90 দিন শেষে আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করার কথা ছিল সিবিআইয়ের ৷ কিন্তু, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তা জমা দিতে পারেননি ৷ আর তারপরেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ ৷ এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সিবিআইয়ের সমালোচনাও করেন ফ্রন্টের সদস্যরা ৷
মোমবাতি মিছিল করলেন জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যরা (ইটিভি ভারত) পাশাপাশি, প্রথমে শনিবার দুপুরে জেনারেল বডির বৈঠক ডাকার কথা বললেও, পরবর্তী সময়ে জরুরি ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই তা হবে বলে জানিয়েছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ৷ ফ্রন্টের সভাপতি অনিকেত মাহাতো বলেন, "দরকারে আবার কর্মবিরতির মতো পদক্ষেপে করতে পারি ৷ এই ব্যর্থতার দায় নিতে হবে সিবিআইকে ৷ কেন 90 দিনের মাথায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করতে পারল না, দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা ?"
জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো আরও বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান রেখেই আমরা বলছি, এখানে সুপ্রিম কোর্ট, সিবিআই এবং রাজ্য প্রশাসন-সকলের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠছে ৷ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রশাসন এবং দেশের শীর্ষ আদালত সকলেরই এই মামলার প্রতি যে সহমর্মিতা দেখানোর দরকার ছিল, সেটা কোথায় ? এই সমাজটা কাদের জন্য ? যাঁরা স্বাস্থ্য দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তাঁদের জন্য ? সমাজের সকল স্তরের মানুষ সবটা দেখেছে ৷"
জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া বলেন, "আরজিকর-কাণ্ডে অনেক ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা জড়িয়ে আছেন ৷ আমাদের প্রশ্নটা সেখানেই ৷ ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা যদি জড়িয়ে থাকেন, তাহলে কি বিচার ব্যবস্থা পিছিয়ে যাবে ? ক্ষমতাশীল ব্যক্তির জন্য বিচার ব্যবস্থা যেমন হওয়া উচিত, ক্ষমতাহীন মানুষের ক্ষেত্রেও তাই হওয়া প্রয়োজন ৷"