দুর্গাপুর, 22 ফেব্রুয়ারি: "ভুয়ো ওষুধের জন্য মৃত্যু হচ্ছে মানুষের । এর দায় কেন্দ্রের", দুর্গাপুরে ইএসআই হাসপাতালে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের উদ্বোধনে এসে বিস্ফোরক দাবি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের কীর্তি আজাদের ।
শনিবার দুর্গাপুরে ইএসআই হাসপাতালে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট ও সিআর্ম মেশিনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের আইন, বিচার ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর শিল্পতালুকে ছোট বড় অনেক বেসরকারি কলকারখানা রয়েছে । সেই কারখানাগুলিতে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মরত । প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এই সব কলকারখানায় । অসংগঠিত সংগঠনের শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য ইএসআই হাসপাতাল থাকলেও সেখানে কোনও ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট ছিল না । ফলে দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হতো । এবার সেই সমস্যার সমাধান হল । দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালে উদ্বোধন হল ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটি ।
এছাড়াও শনিবার সি-আর্ম মেশিনেরও উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক ও সাংসদ কীর্তি আজাদ । এই মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত আঘাতের জায়গা চিহ্নিত করে কম সময়ের মধ্যে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে ।
শনিবার দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালের 10 বেডের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের উদ্বোধনের সময় কালে মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ কীর্তি আজাদ ছাড়াও ছিলেন দুর্গাপুর পৌরনিগমের প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, ইএসআই হাসপাতালের সুপার দীপাঞ্জন বকসি-সহ পৌর প্রতিনিধিরা ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা ।

এদিন দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের উদ্বোধন করতে এসে সাংসদ কীর্তি আজাদ বলেন, "ভুয়ো ওষুধের জন্য মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের । এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারের ।"
তিনি আরও বলেন, "যাদের লাইসেন্স দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, তারাই ভুয়ো ওষুধের কারবার করছে । আর সেই ওষুধ খেয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না । সেই কারণেই মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে । বাড়ির লোকেদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের । আসলে এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার । আমি এর জন্য লড়ছি । যতদূর যাওয়ার যাব ।"
অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, "এই রাজ্যে যত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে, সারা দেশের অন্য কোনও রাজ্যে নেই । রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কথা ভাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন তিনি । দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ । সেই জন্য প্রতিবছর কেন্দ্র সরকার 50 কোটি টাকা করে ইন্সেন্টিভ দেয় ।"