ঝড়ে দুর্গতদের ত্রাণ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক-পুলিশ সুপার জলপাইগুড়ি, 3 এপ্রিল: ঝড়ে দুর্গতদের ত্রাণ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার । পর্যাপ্ত খাবার নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের । পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন ময়নাগুড়ির আইসি ।
ঝড়ে দুর্গতদের ত্রাণ দিচ্ছে প্রশাসন বুধবার সকালে জেলাশাসক শামা পারভিন ও পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপতকে সঙ্গে নিয়ে ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিস গ্রামে যান । ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কিট দিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা । গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ময়নাগুড়ির থানায় আইসি সুবল ঘোষ । রীতিমতো দুর্গতদের ধমকাতে দেখা যায় তাঁকে । পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত ।
ঝড়ে দুর্গতদের ত্রাণ দিচ্ছে প্রশাসন এ দিন বার্নিস কালীবাড়ি এলাকায় জেলাশাসক শামা পারভিন ও পুলিশ সুপার ত্রাণ নিয়ে পৌঁছালে সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা সুধীর অধিকারী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন । তাঁর অভিযোগ, এই ক’দিন খাবার আসেনি ৷ এলাকায় কেউ আসেনি ৷ প্রথম দিন ত্রিপল আর শুকনো খাবার দেওয়া হলেও পরে কোনও খাবার আসেনি ৷
ত্রাণ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক-পুলিশ সুপার সুধীর অধিকারী আরও বলেন, ‘‘আমরা চাই ঘর দিক সরকার । আমাদের এখনও বিদ্যুৎ নেই ৷ অসহায় অবস্থায় আমরা আছি । আর কয়েকদিন পর ত্রাণ নিয়ে আসা হল ।’’ স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দিন প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জেলাশাসক শামা পারভিন ও পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত ত্রাণ নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছে । সবাই ত্রাণ পেয়েছেন কি না, তা জানার চেষ্টা করেছেন ।
এদিকে পুলিশ সুপারকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সরকার থেকে সব পাচ্ছো ৷ তবুও কেন মিথ্যা কথা বলছো ?’’ গ্রামবাসীরা বলছেন, ‘‘আমরা ত্রিপল পেয়েছি প্রথমদিন শুকনো খাবার পেয়েছি ৷ তারপর কিছুই পাইনি । আমাদের ভেতরের এলাকায় কেউ খোঁজ নিতেই আসছেন না ৷’’
আরও পড়ুন:
- ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় অনন্ত মহারাজ, ত্রাণ বিলি নিয়ে ক্ষোভ সাংসদের
- ঝড় বিধ্বস্ত আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়িতে ভোট দিতে দরকার কেবল ভোটার স্লিপ, জানাল কমিশন
- ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি নিয়ে উদ্বিগ্ন শাহ, ফোন মমতাকে