কলকাতা, 31 ডিসেম্বর: এসে গেল ইংরেজি নববর্ষ । 2024 পেরিয়ে 2025 সালের দিকে এগিয়ে যাওয়া । বছরের প্রথম দিনই বন্ধ থাকছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল । ইংরাজি নববর্ষ উপলক্ষে প্রতিবারের মতোই এবারও স্কুল বন্ধ । 2 জানুয়ারি থেকে শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ । তারপরে প্রত্যেক বছরের মতো রাজ্যে স্কুলগুলিতে যে ছুটি থাকবে তার তালিকা প্রকাশ পেয়েছে ।
এ বছর রাজ্যের প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক সব স্কুলেই ছুটি থাকবে মোট 65 দিনের । পুজোতে ছুটি থাকবে 25 দিনের । প্রতি বছরের মতো এ বছরও দুর্গাপুজা থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল । প্রাথমিকে আগে পুজোর ছুটি ও কালীপুজোর ছুটির মধ্যে বিরতি থাকত । কিন্তু এবছর তা আর থাকছে না ।
তবে গরমের ছুটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক । কারণ গরমের ছুটিতে দেখা গিয়েছে তারতম্য । প্রাথমিকে গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছে মে মাসের 2 তারিখ থেকে 12 তারিখ পর্যন্ত । হাইস্কুলের জন্য গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছে মে মাসের 12 তারিখ থেকে 23 তারিখ পর্যন্ত । আবার মাদ্রাসায় গরমের ছুটি 27 মে থেকে 6 জুন । প্রত্যেক বছরই অত্যধিক গরমের জেরে অনেক আগে থেকেই গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয় সরকারের তরফে । এত দিন গরমের ছুটি থাকায় সিলেবাস শেষ করা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় স্কুলগুলিকে । এই নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ৷
শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, "গ্রীষ্মের ছুটির ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ছুটির তালিকা ভিন্ন ভিন্ন । প্রশ্ন উঠছে, কীসের ভিত্তিতে এই তালিকা ? এছাড়া বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ছুটির সংখ্যা আগের মতো 85 দিন ফিরিয়ে আনা হলে বিদ্যালয়গুলি আঞ্চলিক পরিস্থিতি অনুযায়ী গ্রীষ্মের সময় ছুটি দিতে পারত । সারা বছর পাঠ পরিকল্পনা এতে বিঘ্ন হত না । কিন্তু দেখা যায়, অপরিকল্পিতভাবে রাজ্য সরকার দীর্ঘ সময় ছুটি ঘোষণা করে বিদ্যালয়গুলিকে বন্ধ করে দেয় । এতে পঠন-পাঠন দারুণভাবে বিঘ্ন ঘটে । আমরা বাস্তবসম্মত এই দাবি মেনে নেওয়ার আবেদন রাখছি ।"
প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "একটা রাজ্যে গরম একবারই পড়ে । সেখানে শিক্ষা দফতরের তিনটি বিভাগে তিন রকম ভাবে গরমের ছুটি পড়বে ! এটা কোনওদিন হতে পারে না । এরকম ছুটি স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি করছে । তাঁদের লেখাপাড়ার ক্ষতি হচ্ছে । বিষয়টিতে রাজ্য শিক্ষা দফতরের নজর দেওয়া দরকার । পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, এই তিনটি বিভাগে তিন রকমের ছুটি একইসময়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন । যাতে স্কুলের নিয়মকানুন বজায় থাকে । বিষয়টি ভেবে দেখবেন ৷"