কলকাতা, 18 জানুয়ারি: শনিবার দুপুর 1টা ৷ শিয়ালদা আদালত চত্বরের বাইরে পুলিশে ছয়লাপ ৷ ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে চারিদিক ৷ ভিতরে আরজি করে চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় রায়দাব পর্ব চলছে ৷ বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে তোলা হল মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ৷ উপস্থিত সবপক্ষের আইনজীবী ৷ তবে আদালতে দেখা মিলল না ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের (আইও) ৷
এরপরেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন তিনি শনিবার রায়দান পর্বে অনুপস্থিত থাকলেন ? তাহলে কি আদালতে 'ওয়াকওভার' দিল সিবিআই ? যদিও সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক কেন এত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে এজলাসে অনুপস্থিত থাকলেন, সেই বিষয়ে সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি ।
আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিন সঞ্জয় রায়কে এজলাসে তোলার আধঘণ্টা পর আদালতে হাজির হয় সিবিআইয়ের একটি দল । কিন্তু ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না সেখানে ।
উল্লেখ্য, আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় এদিন শিয়ালদা আদালতের অদূরেই অবস্থানে বসে চিকিৎসকরা । কোনোরকমে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয়, তার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল কলকাতা পুলিশ । একজন আইপিএস আধিকারিকের নেতৃত্বে থানার অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জ-সহ একাধিক পুলিশ কর্মীরা মোতায়েন ছিলেন আদালত চত্বরের বাইরে ৷
প্রসঙ্গত, এর আগেও যখন এই মামলার ট্রায়াল পর্ব চলছিল সেই সময় সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদা আদালতে ঢোকা এবং বেরোনোর সময় একাধিকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায় । তদন্ত নেমে সিবিআই আধিকারিকরা অনেকবার আরজি কর হাসপাতালে যান এবং থ্রিডি স্ক্যানারের মাধ্যমে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে শুরু করেন ।
তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের পর সমস্ত ধারা যুক্ত করে সিবিআইয়ের তরফে এই মামলার যাবতীয় কাগজপত্র বিচারকের সামনে জমা দেওয়া হয় । তবে অনেকেই মনে করছেন, শনিবার রায়দানের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ দিনে সংশ্লিষ্ট মামলার সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের আদালতে উপস্থিত থাকা জরুরি ছিল ।