জলপাইগুড়ি, 5 সেপ্টেম্বর: আরজি কর নিয়ে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশন (IMA) জলপাইগুড়ি শাখার কোনও কর্মসূচী নেই ! বিষয়টিতে খুশি নয় বলে সাফ জানালেন জলপাইগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক তথা চিকিৎসক প্রদীপ কুমার বর্মা। আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদে নেই আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখা। এবার জলপাইগুড়ি শাখার ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করলেন জলপাইগুড়ির চিকিৎসকরা। ক্ষোভ বেড়েছে চিকিৎসক মহলেও ৷
প্রতিবাদে নেই IMA জলপাইগুড়ি (ইটিভি ভারত) আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখা প্রশ্নের মুখে ৷ যেখানে দেশব্যাপী চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ চিকিৎসকের ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন। কিন্তু, আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচী নেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, কোনও প্রতিবাদও জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার সম্পাদক পদে রয়েছেন চিকিৎসক সুশান্ত কুমার রায়। ইতিমধ্যেই আরজিকর কাণ্ডে তাঁরও নাম জড়িয়েছে। আইএমএ কোনও কর্মসূচী না নিলেও প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলাচ্ছেন আইএমএ সদস্যরা।
আরজি কর-কাণ্ডের 27 দিন গড়িয়ে গেলেও এখনও কেন আইএমএ জলপাইগুড়ি কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচী নিল না, তা নিয়ে আইএমএ সদস্যদের অন্দরেই ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। যেখানে প্রতিদিনই জলপাইগুড়ি শহরে কোন কোন সামাজিক সংগঠনই হোক বা অরাজনৈতিক, রাজনৈতিক সংগঠন আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিল বের করছেন দোষীদের শাস্তির দাবি করছেন। কিন্তু চিকিৎসক সমাজের সংগঠন হয়েই কেন আইএমএ জলপাইগুড়ি প্রতিবাদ সভা বা প্রতিবাদে রাস্তায় নামল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা আইএমএ-এর প্রাক্তন সভাপতি ডাক্তার প্রদীপ কুমার বর্মা আইএমএ-এর ভূমিকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "আইএমএ জলপাইগুড়ি ব্রাঞ্চের কোনও কর্মসূচী নেই। সেটাই তো দেখতে পারছি। আমরাই চাইছি বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক। আমরা দোষীর ফাঁসি চাইছি।"
এদিকে আইএমএ জলপাইগুড়ি ব্রাঞ্চের সহ সভাপতি ডাক্তার রাহুল ভৌমিক বলেন, "আইএমএ সেন্ট্রাল কমিটির ডাকে আমরা কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছি। কিন্তু জলপাইগুড়ি আইএমএ শাখার নিজস্ব কোনও কর্মসূচী এখনও সংগঠিত হয়নি। অবশ্যই আইএমএ জলপাইগুড়ির নিজস্ব কর্মসূচী হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেবার তা সভাপতি, সম্পাদক তাঁরাই নেবেন। কিন্তু, তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সাধারণ সদস্যরা সেই হিসেবে চলব। তবে আরজি করের যে ঘটনা ঘটেছে। তারই প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমেছি। তবে আমরা অনেক আইএমএ সদস্যরা আমরা রাস্তায় নেমেছি।"
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির আইএমএ-এর লাইফটাইম সদস্য ডাক্তার স্বস্তিশোভন চৌধুরী বলেন, "আমাদের জলপাইগুড়ি আইএমএ কেন কোন কর্মসূচী নিল না এটা আমরা অত্যন্ত অবাক হচ্ছি। আইএমএ কেন্দ্রীয় কমিটি সারা দেশে একদিন ধর্মঘট ডেকেছে। আইএমএ বেঙ্গল ব্রাঞ্চ একসাথে কর্মসূচী নিয়েছে। বিভিন্ন আইএমএ ব্রাঞ্চগুলি নিজস্ব কর্মসূচী নিচ্ছে। আমাদের জলপাইগুড়ির পার্শ্ববর্তী কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়িতে ও কর্মসূচী হয়েছে। কিন্তু জলপাইগুড়ি আইএমএ-এর যারা নেতৃত্ব তারা কোনও কর্মসূচী নিতে দেখলাম না। এই ঘটনায় আমি ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।"