কলকাতা, 19 অগস্ট: সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা প্রাক্তন সংসদ কুণাল ঘোষ। সরাসরি তিনি দাবি করলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজিকর কেসে পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে এই কেস থাকলে রবিবারের মধ্যে তা সমাধান হয়ে যেত। এই মুহূর্তে সিবিআই এই কেসে তদন্ত করছে। অথচ এই কেসের তদন্তে সামান্য উন্নতিটুকু হয়নি। কলকাতা পুলিশের হাতে কেস থাকাকালীন একজনকে গ্রেফতার করেছিল। তারপরে কেউ আর গ্রেফতারও হয়নি।
কুণাল ঘোষ বলেন, "আগামী 23 অগস্টের মধ্যে ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। সিবিআই তার মধ্যেই এই মামলার কিনারা করক। সেখানেই এই কেস নিয়ে বিস্তারিত অগ্রগতি আদালতকে জানানো হোক। সেখানে স্পষ্ট করে বলতে হবে, এই একমাত্র দোষী, নাকি আরও কেউ দোষী আছে ? তারা কারা ?"
তিনি এদিন অভিযোগ করেন, "সুযোগ সন্ধানী বাম এবং রাম তদন্তকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাম আমলে এতগুলি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৷ একটি ক্ষেত্রেও কি সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন? অথবা উন্নাও, হাথরাস, বিলকিস, কুস্তিগীরদের শ্লীলতাহানিতে মুখ্যমন্ত্রী অনেক দূরের কথা একজন সাংসদকেও কি ইস্তফা দেওয়ানো হয়েছে? নাগরিক সমাজের আকুতি রাজনৈতিক নয়। কিন্তু, যাঁরা বিষয়টিকে ঘুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, সেই রাজনৈতিক দলগুলি রাজনীতি করছে।"
কুণাল ঘোষ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন উনি পথে? এখন তো তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। ওঁর অধিকার আছে, বিচার চাই-এর স্লোগান তোলার। কট্টর বিজেপি, কট্টর সিপিএম-রা যে ভাবে আন্দোলনের স্থানে গিয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, তা নিন্দনীয়। ন্যায়বিচার চাইতে যাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের অনেকেই মামলায় জেলে গিয়েছেন। এসব রাজনীতি লজ্জার ৷ এসব চলবে না।"