কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর: টানা বৃষ্টিতে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি ৷ মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে প্রায় 3 লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ৷ জলমগ্ন হয়ে বন্যা পরিস্থিতি বরাকরে ৷ বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন ৷ ভাসছে বীরভূমের একাধিক এলাকা ৷ ইতিমধ্যেই লাভপুর ও ইলামবাজার প্লাবিত ৷ জলে ভাসছে হুগলির আরামবাগ, মুর্শিদাবাদের বড়ঞাও ৷ নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের একাধিক জেলায় ৷
বীরভূমে বন্যা: উদ্ধার পুরোহিত, ভেসে গেল বাইক |
লাভপুর ও ইলামবাজার: বিশ্বকর্মা পুজো করতে যাওয়ার সময় লাভপুরে ভেসে যাওয়া পুরোহিতকে উদ্ধার করলেন গ্রামবাসীরা । অন্যদিকে, ইলামবাজারে শাল নদীর জলের তোড়ে ভেসে গেল বাইক ৷ মাইথন, পাঞ্চেত, তিলপাড়া, সিকাটিয়া জলাধার থেকে জল ছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বীরভূম জেলার বহু জায়গা প্লাবিত ৷ কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে লাভপুরের 15টি গ্রাম প্লাবিত । বহু বাড়ি, বিস্তীর্ণ ধানজমি জলের তলায় ৷
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের জেরে 3 দিনে 200 মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে বীরভূমে ৷ স্বাভাবিকভাবেই ফুঁসছে কোপাই, অজয়, ময়ূরাক্ষী, ব্রাহ্মণী, দ্বারকা নদ ৷ লাভপুরের শীলতগ্রাম থেকে বুনিয়া গ্রামে পুজো করতে যাচ্ছিলেন এক পুরোহিত ৷ হঠাৎই জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি ৷ তড়িঘড়ি স্থানীয় মানুষজন বড় টিউবের সাহায্যে তাঁকে উদ্ধার করেন ৷
বীরভূমের এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে রিপোর্ট দিয়েছেন জেলাশাসক বিধান রায় । প্রশাসনের তরফে বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে । শুকনো খাবার ও পলিথিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে । মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল ৷ পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ও বিডিও ।
আরামবাগে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে জল |
আরামবাগ: নিচু এলাকাগুলি প্রায় পুরোটাই প্লাবিত হয়েছে এই মুহূর্তে । জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে । খানাকুলে ফের বন্যা, রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে নদীর জল । ফাটল দেখা যাচ্ছে নদী বাঁধে । যার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা । প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে বাঁধ বাঁচানোর কাজ । পাশাপাশি চলছে সচেতন করতে মাইকিং ।
খানাকুলে রূপনারায়ণ নদীর জল বসতি এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে । জলমগ্ন বাজার । ঝুঁকি নিয়ে চলছে স্থানীয় মানুষের যাতায়াত । সেই নিয়েই প্রশাসনিক বৈঠক হল আরামবাগে এসডিও অফিসে । উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া, রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা ৷
বিপদসীমা দিয়ে বইছে অজয় ও টুমনি নদীর জল |