কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি: জেলবন্দি থাকাকালীন কেন তিনি বিধায়ক ভাতা পাবেন না ? এই নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জেলবন্দি থাকাকালীন তাঁর ভাতা আটকে থাকা নিয়ে বেশ কয়েকবার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন । এই অবস্থায় মঙ্গলবার তাঁকে এই নিয়ে শুনানির জন্য সময় দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ । আইনগত দিক তুলে ধরে বন্ধ থাকা তাঁর ভাতা যাতে চালু করার জন্য অনুধোর করেন। যতদূর জানা গিয়েছে, এদিন শুনানির পরেও তাঁর বকেয়া ভাতা পাওয়ার বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি । শুনানি স্থগিত রেখেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ।
বিধানসভা সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শ চেয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ ৷ দেশের শীর্ষ আদালতের বিভিন্ন রায় পর্যবেক্ষণ করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল একটি বিশেষ নোট দিয়েছেন । যতদূর জানা যাচ্ছে, সেখানেও অধ্যক্ষ যে অবস্থান নিয়েছেন তাকেই সমর্থন করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, 2022 সালের 11 অক্টোবর শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল ইডি । 2024 সালের 12 সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান। 23 মাস তিনি জেলে ছিলেন । শিক্ষা দুর্নীতির কারণে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর একাধিক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে । কিন্তু বর্তমানে বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে তাঁর যে বেতন সেটি তিনি পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার 20 মিনিটেরও বেশি সময় ধরে শুনানিতে 23 মাসের টাকা পাওয়ার জন্যই দরবার করেছেন তিনি । এই মুহূর্তে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি মিটিংয়ে হাজিরার ভাতা-সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিধায়ক ভাতা পান মানিক ভট্টাচার্য ।
তবে বিধানসভা সূত্রে খবর, সেই অর্থ এখনই তাঁর হাতে আসার সম্ভাবনা নেই । কারণ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি । তবে জেলে থাকাকালীন মেডিক্যাল বিল যেগুলি বিধানসভায় তিনি জমা করেছিলেন সেগুলি পর্যালোচনা করে দেখেছে রাজ্য বিধানসভা । জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যও যাচাই করেও দেখা হয়েছে। এক্ষেত্রে ওষুধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত যে বিল তিনি রাজ্য বিধানসভায় জমা করেছিলেন তার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে । ফলে জেলে থাকাকালীন যে ওষুধটা বাইরে থেকে কিনতে হয়েছিল বা যে চিকিৎসার খরচ জেল বহন করেনি সেই অর্থ পাবেন বিধায়ক ।