ইসালমপুর, 14 জুলাই: সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল ইসলামপুর শুটআউটে মৃত তৃণমূল নেতার পরিবার। শনিবার রাতে ইসলামপুর মহকুমার শ্রীকৃষ্ণপুরের একটি ধাবায় শুটআউটের ঘটনায় নিহত হন তৃণমূল নেতা বাপি রায় । তিনি ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক তৃণমূল নেতা মহম্মদ সাজ্জাদ ।
সিবিআই তদন্তের দাবি (ইটিভি ভারত) মৃতের স্ত্রী লিপি বিশ্বাস রায় বলেন, "তারা কেন মারল সেই বিষয়টি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয় । তবে আমরা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করছি। নির্মমভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে । খুন করার পাশাপাশি তার হাতের আংটি, মোবাইল, টাকা সব ছিনতাই করা হয়েছে ।" মৃতের শ্যালক রানা বিশ্বাস বলেন, "রাতে আচমকা খবর পাই জামাইবাবুর উপরে গুলি চলেছে । একটি ধাবায় পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের সময় গুলি চলে। পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়েছে । তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন । কিন্তু আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।"
শনিবার রাতে আহত ও নিহতকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয় । মৃত বাপি রায়ের শরীরে আটটি গুলির ক্ষত পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়। পরে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় । অন্যদিকে, মহম্মদ সাজ্জাদের চিকিৎসা চলছে ওই নার্সিংহোমে । তাঁর কোমরে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে । ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে ওই ধাবায় বৈঠক করছিলেন তৃণমূল নেতারা। সেই সময়ে আচমকাই গুলি চলে। শুটআউটে বাপি রায়ের প্রাণ যায়। গুরুতর আহত হন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মহম্মদ সাজ্জাদ ৷ কারা গুলি চালিয়েছে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয় ৷ রাজনৈতিক কারণে হামলা হয়েছে না কি ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই হামলা, সেটাও এখনও স্পষ্ট হয়নি ৷ তবে ঘটনার নেপথ্যে ঠিকাদারি, জমির কারবার বা অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।