কলকাতা, 18 জানুয়ারি: আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সোমবার সাজা ঘোষণা হবে তাঁর ৷ সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। সর্বনিম্ন সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 64 নং ধারা অনুযায়ী ধর্ষণ, 66 নং ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সময় এমন আঘাত যাতে মৃত্যু হতে পারে এবং 103 (1) নং ধারা অনুযায়ী খুনের ধারায় শাস্তি পাবেন সঞ্জয়।
2024-এর 9 অগস্ট মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে সব পেশার এবং সর্বস্তরের মানুষ। খুন এবং ধর্ষণের 48 ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ৷ আজ তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। শুধু কি তাঁর শাস্তিতেই স্বস্তি ফেলছেন বিশিষ্টজনেরা? তাঁদের কথা শুনে নিল ইটিভি ভারত।
দেবলীনা দত্ত (অভিনেত্রী)
কথা হল, ঘটনার 48 ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ে সঞ্জয় রায়। যদি তাতেই খুশি হতাম তা হলে পাঁচ মাস ধরে আন্দোলন কেন হল? নতুন কী ঘটল এই পাঁচ মাসে? প্রমাণ লোপাটের কারণে দু'জনকে ধরা হল। একজন ছাড়া পেয়ে গেল। আরেকজন দুর্নীতি মামলায় আটকে আছেন। এতদিন ধরে ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যে সংবাদ মাধ্যমে এসে পাখি পড়ানোর মতো পড়ালেন যে এই কাজ একজনের দ্বারা হতে পারে না, তা হলে বাকিরা কোথায়? তারা কবে ধরা পড়বে? দোষী সাব্যস্ত যখন হয়েছে তখম সঞ্জয় রায়ের বড় রকমের শাস্তি হবে এটা স্বাভাবিক। আমার তাতে আগ্রহ নেই। কিন্তু বাকিরা কোথায়? সঞ্জয় রায়ের শাস্তি তো সহজেই হয়ে যাবে।"
নির্যাতিতার জন্য ন্যায় চেয়ে প্রতিবাদে সামিল হন শিল্পী লগ্নজিতাও ৷ তিনি বলেন, "আমার আজ এটা নিয়ে কিছুই বলার নেই।" আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, "একজন মেয়ে হয়ে এটাই বলব যেন মেয়েটির থেকেও দ্বিগুণ কষ্ট পায় দোষী। এমন শাস্তি হোক মানুষ যাতে এমন কিছু করার কথা ভাবতেও না পারে কখনও ।"
দেবদূত ঘোষ (অভিনেতা)
তিনি বলেন, "সঞ্জয়ই একমাত্র দোষী কি না সেটা যেন বিচার ব্যবস্থা জানিয়ে দেয় ৷ আজ নির্ভয়ার বাবাও বলেছেন, এই ধরনের কাজ একা কেউ করতে পারে না। সুতরাং চাইব, সঞ্জয় যেন সোমবার তার কথা বলার সুযোগ পায়। সারা পৃথিবী জানতে চায় সঞ্জয় কি একাই দোষী?"