সোদপুর, 17 নভেম্বর: দেখতে দেখতে 100 দিন পার হয়ে গেল ! এখনও আরজি করের তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার মিলল না ৷ বিচারের দাবিতে জারি নাগরিক সমাজ এবং চিকিৎসক সংগঠনের আন্দোলন ৷ এই বিষয়ে আশাবাদী নির্যাতিতার বাবা ও মা ৷
রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরজি করের নির্যাতিতার বাবা প্রথমেই বলেন, "মিলবে, বিচার মিলবে, কারও হতাশ হওয়ার কিছু নেই ৷ আমাদের আন্দোলনটা ঠিক করে চালিয়ে যেতে হবে ৷" ঘটনার একশো দিন পূর্ণ হওয়ায় এদিন বিচার চেয়ে ফের পথে নামল চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ৷ নির্যাতিতার জন্য মশাল মিছিল এবং সাইকেল র্যালি হয় ৷ তাতে সামিল হন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা ৷ নাটাগড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত সুদীর্ঘ এই মিছিল স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল ৷
আরজি করের ঘটনার 100 দিন (ইটিভি ভারত) কর্মসূচি শুরুর আগে চিকিৎসক সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে যায় । সেখানে তাঁর বাবা-মাকে এই কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার অনুরোধ করলে তাঁরা তাতে সাড়া দেন ৷ হুডখোলা জিপে উঠে কিছুক্ষণের জন্য এই মিছিলে সামিল হন আরজি করের নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা ৷
একশো দিন পেরিয়ে আরজি করের ঘটনার বিচার না পেয়ে আদালত কিংবা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই- কাউকেই দোষারোপ করেননি বাবা-মা ৷ এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "বিচার ঠিক মিলবে ৷ কারও হতাশ হওয়ার কিছু নেই ৷ আন্দোলন ঠিকমতো চালিয়ে যেতে হবে ৷ আমাদের বিশ্বাস আছে, বিচার একদিন মিলবেই ৷ আর বিচার না মিললে ছিনিয়ে আনব ৷" এই কর্মসূচিতে পুলিশ অনুমতি দেয়নি ৷ এনিয়ে নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন, "এটা পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপার ৷ এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না ৷ এরা প্রথম থেকেই বাধা দিচ্ছে ৷ পরে সেই অনুমোদন দিচ্ছে ৷ বুঝতে পারছি না ৷"
আরজি করের ঘটনায় একমাত্র ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের দাবি প্রসঙ্গে বাবা-মা কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ তাঁরা বলেন, "বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলব না ৷ যে বলছে, সেটা তার ব্যাপার ৷" 100 দিন পরেও বিচার পাওয়া প্রসঙ্গে নিহত ছাত্রীর মা বলেন, "শুধু একশো দিন নয়, আমরা প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা ঘণ্টা, প্রতিদিন গুনছি ৷ অপেক্ষা করে রয়েছি বিচার পাওয়ার আশায় ৷ 9 অগস্ট ওই একটা ফোন আমাদের মনে যে মশালের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল, সেই আগুন এখনও জ্বলছে ৷"